বিনোদন ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম কেনো মঈন আলীকে এতো ভাগ্য উপহার দিচ্ছে! আগের দিন চার বার রিভিউ থেকে বাচলেন; তিন বার আউট ঘোষনার পরও। দলের সর্বোচ্চ রান করলেন। আজ লাঞ্চের আগেই কোনো রান না দিয়ে দুটো উইকেট।
ব্যাপারটা কী?
ব্যাপারটা হলো, চট্টগ্রাম মঈন আলীকে খালি হাতে ফেরাতে পারে না। এখানেই যে তার শ্বশুর বাড়ি! হ্যা, বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, ইংল্যান্ডের দুনিয়া কাঁপানো এই অলরাউন্ডার আসলে চট্টগ্রামের জামাই। তাও আবার যেনো তেনো প্রকারে জামাই নয়। প্রবাসী কোনো বাংলাদেশীকে
বিয়ে করেননি। রীতিমতো বাংলাদেশে এসে প্রেম করেন, সিনেমার মতো করে পারিবারিক প্রতিকূলতা দূর করে তবে এখান থেকে নিয়ে গেছেন স্ত্রীকে।
মজার ব্যাপার হলো, সেই স্ত্রীর আগ্রহেই এবার ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার আগে মঈনই বাংলাদেশ সফরে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
মঈন আলী ও তার স্ত্রীর পরিবার চান না যে, তাদের পরিচয়টা জানাজানি হোক। তাদের এই চাওয়ার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ঘনিষ্ঠজনেরা পরিবারটির কারো নাম প্রকাশ থেকে বিরত থেকেছেন। তবে এটা জানালেন যে, ২০০৫ সালে মঈন আলীর সাথে পরিচয় তার স্ত্রীর। সে বছর এক ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন মঈন।পরিচয় হয় চট্টগ্রামের এক মেয়ের সাথে।সেখান থেকে সম্পর্ক।২১ বছর বয়সে সেই মেয়ের সাথেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মঈন।
শুরুতে চট্টগ্রামের এই পরিবারটি কিছুতেই এরকম অপরিচিত এক বিদেশীর সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন না। জানা গেলো, যে বাংলাদেশ জাতীয় দলে মঈন আলীর এক বন্ধু ক্রিকেটার তখন কিছুটা দূতিয়ালিও করেছেন! পরে মঈনের পরিবারের আগ্রহে মেয়ের পরিবারের সদস্যরা ইংল্যান্ডে গিয়ে দেখেশুনে তবে রাজী হয়েছেন।
এরপর হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান। পরিবার-পরিজন নিয়ে মিডিয়ার সামনে মঈন আলী তেমন আসেন না। তবে একবার মাঠে দেখা গেছে তার ছেলে আবু বকরকে। তবে যেখানে কিছু ক্রিকেটার নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশে আসতে চান নি সেখানে স্ত্রীকে নিয়েই এসেছেন তিনি।
চট্টগ্রাম কেনো মঈন আলীকে এতো ভাগ্য উপহার দিচ্ছে! আগের দিন চার বার রিভিউ থেকে বাচলেন; তিন বার আউট ঘোষনার পরও। দলের সর্বোচ্চ রান করলেন। আজ লাঞ্চের আগেই কোনো রান না দিয়ে দুটো উইকেট।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম / ২২-১০-২০১৬ ইং/মোঃ হাছিব