জান্নাতুল জাকির প্রিন্স ভূঁইয়া, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
পাকুন্দিয়ায় জাতীয় যুব দিবস অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে সাংবাদিক অসুস্থ্য, হাসপাতালের চিকিৎসকদের দায়িত্বহীনতা। মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের পর অন্যান্য খাবারের সাথে স্থানীয় হোটেলে তৈরী ঝাল ছমচা খান। তারপর
“বাংলাদেশ সময়” (পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি) মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বেলা ১টার দিকে থানা সংলগ্ন চেম্বারে ফিরে আসতেই পেটে ব্যাথায় অস্থির হয়ে উঠেন। এমতাবস্থায় স্থানীয় লোকজন দ্রুত পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব শেষ করেন। সংবাদ পেয়ে একে একে স্থানীয় সাংবাদিকরাও হাসপাতালে যান এবং খোঁজ-খবর নেন। সন্ধা ৬টা পর্যন্ত সাংবাদিক মঞ্জু হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও কোন চিকিৎসক তার খোঁজ-খবর নেননি। এপর্যায়ে কিছুক্ষণ পরপর শরীর হাত-পা খিঁচনী শুরু হয়। এসময় হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, ক্লিনারদের সহযোগিতা পাওয়া গেলেও কোন চিকিৎসক একবার খোঁজ নিতে আসেননি। সাংবাদিক মঞ্জুর স্ত্রী ছামিরা বেগম জানান, রোগীর এমন অবস্থাতে একজন ডাক্তারের সহযোগিতাও পায়নি। রোগীকে নিয়ে যেতে এম্বুলেন্স চেয়েও পায়নি। এমতাবস্থায় অটোবাইক ভাড়া করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে রোগী সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই চিকিৎসক কর্মচারীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এখানে চিকিৎসায় তিনি (সাংবাদিক) মৃত্যুর মুখ থেকে যেন ফিরে এসেছেন। তিনি পাকুন্দিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সংবাদ পেয়ে প্রথমে হাসপাতালে ছুটে যান “দৈনিক গৃহকোণ” (পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি)
শামীমা বেগম। সাংবাদিক মঞ্জুকে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রোগীর পাশে সার্বক্ষণিক ছিলেন এ সাংবাদিক। তিনিও চিকিৎসকদের দায়িত্বহীনতায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ সংবাদ কর্মির প্রশ্ন সাংবাদিকরা যেখানে সু-চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়, সেখানে সাধারণ মানুষ কি চিকিৎসা পাবে? উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খাইরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চিকিৎসকদের দায়িত্বহীনতার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে স্থানিয় সকল সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাংবাদিক মঞ্জুরুল হক মঞ্জুর শারীরিক অবস্থা অাগের থেকে উন্নতির দিকে বলে জানা গেছে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০২-১১-২০১৬ইং/ অর্থ