আশরাফ আলী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
‘‘রাখব নিরাপদ দেখাবো আলোর পথ’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পৃথিবীর সমস্ত কারাগারে আসামী বা বন্দীদেরকে নিরাপদে রাখা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় ৪ নেতার ১ জন কিশোরগঞ্জ গণ মানুষের নেতা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঐ কালো রাতেই বর্বরোচিত হামলায় শহীদ হন। আজ কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে কালো পতাকা মিছিলে অংশ নেন। এ সময় কালো রাতের দূর্বিসহ দিনের বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন আমার চাচা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম জীবনের পরোয়া না করে ৬৯ এর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দক্ষতার সাথে যুদ্ধ পরিচালনা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও মানুষের পাশে থেকে, বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আমার ভাই তিনিও হেফাজতের হাত থেকে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দেশকে কালো রাত থেকে রক্ষা করেন। ১৯৯৬ এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসা বর্তমান দেশে উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অবদান অনস্বীকার্য। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে বলেছিলেন- এই শরীরে শহীদের রক্ত প্রবাহমান। এ রক্ত কখনো বেঈমানী করতে জানে না। এ রক্তে জনগণের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। আমি তার সাথে এক হয়ে বলতে চাই এখনও আমাদের পরিবারে রক্তের দাগ রহিয়াছে, রহিয়াছে অনেক না বলা কথা। যা কেন্দ্রীয় কারাগারের চার দেয়ালেই ঘুরপাক খাচ্ছে। জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যাকারীদের বিচার এই মাটিতেই হবে।
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য মনসুর আলী, নিজাম, খায়রুল মোল্লা, বিলকিছ বেগম, আশরাফ আলী, হলুদ মিয়া, মামুনসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলেন- সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু জেলা আওয়ামী লীগের কর্ণধার হওয়ার কিছুদিনের মাঝেই আমাদের ও সাধারণ মানুষের কাছাকাছি চলে এসেছেন। তিনি যেন গরীবের ভাই ও অন্যায়ের প্রতিবাদকারীসহ সকল অন্যায়ের প্রতিষেধক হিসেবে কাছ করছেন। এমন নেতা খুব কম দেখা যায়। আমরা আশা করি ওনার নেতৃত্বে আগামীতে আওয়ামী লীগ কিশোরগঞ্জ জেলায় গণ মানুষের নেতা হিসেবে পরিণত হবে। তার মাঝে লোভ নাই, টেন্ডারবাজী নাই, সরকারি অফিসে দৌড় নাই, কোনো সরকারি কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু’র সাথে যোগাযোগ তো দূরের কথা তাকে দেখারও দুঃস্বাধ্যকর। অন্যদিকে দলে নাম আসতে না আসতেই চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী জমকালো শব্দ শোনা যাচ্ছে। তাই সাধারণ জনতার চাহিদা সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুকে আগামী নেতৃত্বের উচ্চ শিখরে দেখতে চায়।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৩-১১-২০১৬ইং/ অর্থ