ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। শুধু জেমস নামেই এখন তাঁকে বিশ্ব চেনে। বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে তাঁর কণ্ঠ কাঁপায় পুরো ভারতে। অথচ জেমস হিন্দি তেমন বোঝেন না এমনকী একদমই বলতে পারেন না। জেমসের মিউজিক জীবন শুরু আশির দশকের একেবারে শুরুতে। চট্টগ্রামে। বাবার চাকরিসূত্রে চট্টগ্রামে চলে যান। কিন্তু বাবা যখন ঢাকা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের ডিরেক্টর জেনারেল হয়ে চলে আসেন। জেমস থেকে যান চট্টগ্রামে। আজিজ বোর্ডিং এর বারো বাই বারো’র একটি ছোট্ট রুমে চলে সংগ্রামী জীবন। সামনের একটা রেস্টুরেন্টে
খাওয়া দাওয়া আর সন্ধ্যায় চলে যেতেন আগ্রাবাদের হোটেলে। সেখানের নাইটক্লাবে বাজাতেন গান করতেন।
তারকা হওয়ার জন্য জেমস কখনো গান করেন নি, মনের তাগিদ থেকেই মিউজিক নিয়ে পড়ে থাকতেন দুষ্ট ছেলের দলের জেমস। সে সময় তিনি ইংরেজি কাভার গানগুলো করতেন। ৮৬ সালে ঢাকায় এসে প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশ করেন। ‘তারপরে জেল থেকে বলছি’ ‘অনন্যা’র মতো অ্যালবামগুলো জেমসকে আকাশচুম্বি খ্যাতি। এরপরে নব্বইয়ের দশকের পুরোটা জুড়েই চলে জেমস উন্মাদনা। তরুণ-যুবকের মুখে মুখে জেমস। আজকের বিশ্বতারকা জেমসের দুঃখ জেমসের সাফল্য বাবা মা কেউই দেখে যেতে পারেন নাই। আর তাইতো তাঁর কণ্ঠে ‘বাবা কতদিন দেখি না তোমায়’ কিংবা ‘মা’ গানে এতটা দরদ ঝরে পড়েছে। দেশের সবধরনের শ্রোতাদের এই গান স্পর্শ করে যায় এখনো।