মন্তোষ চক্রবর্তী, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ):
হাওর অ লের হাঁসের খামারগুলো অত্যন্ত লাভবান ব্যবসা। কিন্তু প্রয়োজনীয় পূঁজি ও চিকিৎসার অভাবে বহু খামাদের মালিক মারাতœক ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। দেশের খাদ্য চাহিদা ও পুষ্টি পূরনে কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার হাওড় অ লের এ খামারগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। ডিম ও মাংসের চাহিদা মিটাতে এ অ লের খামারে উৎপাদিত ডিম ও হাঁস রাজধানী শহর ঢাকা সহ দেশের নামকরা শহর বন্দরে সরবরাহ হয়ে থাকে এবং ডিম ও হাঁস বিক্রি করে এসব খামারের মালিক প্রচুর লাভবান হয়ে থাকে। কিন্তু মাঝে মধ্যে এসব খামের হাঁসের মরক দেখা দিয়ে হাজার হাজার হাঁস মরে যায়। ফলে খামারের মালিকেরা আর্থিক সংকটের সম্মুখিন হয়। তখন বিকল্প পূঁজির অভাবে লাভবান ও খামার ধ্বংস হয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে পূর্ব অষ্টগ্রাম খামারের মালিক সবুর মিয়া জানান, খামার গঠনের পূঁজি হিসেবে ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন, ক্ষতিগ্রস্থ হলেও আরও ৫ লাখ টাকা পূজি যোগান দিলে ১ বছরের মাঝেই সব পূঁজি এসে লাভের অংশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, যেহেতু অষ্টগ্রামে রয়েছে হাওড় ও বিভিন্ন জলাশয়। সেখানে হাঁস পালনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে অষ্টগ্রামের ৬০ জন হাঁস পালন কারীর তালিকা মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে করে তারা নানা ভাবে সহায়তা পেতে পারে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৪-১১-২০১৬ইং/ অর্থ