কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ,
অবশেষে আগামী ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন। গত ১৯ অক্টোবর বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে কিশোরগঞ্জ জেলার তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপির ইউনিটগুলোর পুনর্গঠনের অগ্রগতি, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় আলোচনাক্রমে কিশোরগঞ্জ জেলার যেসব উপজেলা ও পৌর ইউনিটে এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি, সেসব ইউনিটে আগামী ১৩ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন এবং ২২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সম্মেলনের কে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা নতুন করে উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেছেন। তরুণ নেতৃত্ব বিপুল উৎসাহ নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই নেতৃত্ব জেলা পর্যায়ে বিএনপির রাজনীতিতে তারুণ্যের প্রভাব দেখতে আগ্রহী। ইতিমধ্যে এ নিয়ে নানামুখী লবিং ও তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও তারা সক্রিয়।
বিগত জোট সরকারের সময় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুককে সভাপতি ও ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে প্রাথমিকভাবে দুই সদস্যের একটি জেলা কমিটি গঠন করা হয়; কিন্তু দলীয় কোন্দলে মতায় থাকাকালীন দীর্ঘ ৫ বছরেও জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
বর্তমানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুর রহমানকে দলীয় কর্মকান্ডে পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ সময়ই ঢাকায় অবস্থান করছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ । দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা থাকলেও তার নামে কোনো মামলা নেই।
আগামী ২২ নভেম্বরের সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত।সরব হয়ে উঠেছেন জেলার অনেক নেতা। নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কে হচ্ছেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এই নিয়ে চলছে নেতা কর্মীদের মাঝে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। ইতি মধ্যে সভাপতি পদে ১।রেজাউল করিম খান চুন্নু ২।মো. মাজহারুল ইসলাম ৩।মোঃ মাসুদ হেলালী ৪।ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানী ৫।অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া ৬। জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা ৭। মজিবুর রহমান ইকবাল ৮। মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন
সাধারণ সম্পাদক:-১।হাজী ইসরাইল মিয়া ২।খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল ৩।শরিফুল ইসলাম শরীফ ৪।অসীম সরকার বাঁধন ৫।নাজমুল আলম হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
সম্মেলনের কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা রাজপথে হামলা-মামলার শিকার নতুন ও তরুণ নেতৃত্ব আসবে আশা করছেন। তারা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সরাসরি কাউন্সিলরদের ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে চান
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম ০৮ / ১১/ ২০১৬ ইং / মোঃ হাছিব