বিনোদন ডেস্ক,
বলিউড তারকাদের মধ্যে আদর্শ ফিগার বলতে এক সময় সবাই শিল্পা শেঠিকেই বুঝতেন। এমনকি এখন পর্যন্ত তিনি তেমনই রয়ে গেছেন। কিভাবে নিজেকে ধরে রেখেছেন? এ প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি এবার কোনো গোপনীয়তা রাখেননি। সোশাল মিডিয়ায় তার আনাগোনা, ইয়োগা আর প্রতিদিনের খাবারের তালিকা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছে বিস্তারিত। সোশাল মিডিয়াকে যদি স্মার্টভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে তা ক্ষতিকর নয় বলেই মনে করেন তিনি। সদ্যই এসেছেন ইন্সটাগ্রামে। ইতিমধ্যে মিলিয়ন সংখ্যক ভক্ত মিলে গেছে। কাজেই সোশাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহারে ইমেজটাকে তুঙ্গে নেওয়া সম্ভব। ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যায় মানুষকে।
খাবার দারুণ পছন্দ তার। বলেন, খাবার আমি খুবই ভালোবাসি। একটি বই লিখতে এ বিষয়ে। খুব সাধারণ খাবারে স্বাস্থ্য ধরে রাখা যায়। এখানে আমি মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। সবার পরামর্শ আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়। আমি তাদের জানাই যে, কেবল রসগোল্লা বা পানিপুরি আমি কতটা পছন্দ করি। কোলেস্টরেল বা অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য মানুষের ডায়াবেটিসসহ নানা রোগের কথা আমি শুনি। এগুলো দেখে আমি সত্যিই ভীত। আমি তাদের জানানে চাই, রোগ থেকে দূরে থাকতে আসলে কি খাওয়া উচিত।
মানুষ অনেক ভুল প্রক্রিয়ায় খাবার খায় বলেই মনে করেন শিল্পা। জানান, আগে থেকেই রান্না করা খাবার ফ্রিজে রেখে খাওয়া হয়। জাঙ্ক ফুড ও বেভারেজ তো রয়েছেই। কিন্তু এগুলো থেকে পুরোপুরি দূরে থাকি আমি। আমি সুস্থভাবে বেঁচে আছি এবং এই বয়সেও আমি ফিট। এসব খাবার আমি কখনো ছুঁয়েও দেখি না।
সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে একটি অ্যাপ থেকে পরামর্শ নেন তারকা। এর নাম ‘বিউটিপ্লাস!’।
এই মুহূর্তে ইন্সটাগ্রাম নিয়েই মজে রয়েছেন তিনি। টুইটারেও যথেষ্ট ভক্ত রয়েছে তার। কিন্তু ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমেই ভক্তদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বেশি। প্রিয় তারকারা কি করছেন তা আসলে ভক্তদের জানা দরকার বলেই মনে করেন শিল্পা।
শুধু যে মানুষ তাকেই ফলো করেন তাই নয়। তিনি নিজেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফলোয়ার।
চার বছরের ছেলেটাকেও খাবারের বিষয়ে সুঅভ্যাস গড়ে তুলে দিতে চান। ফ্রিজে রাখেন হোয়াইট বাটার, চিজ, ল্যাক্টোজ ফ্রি চিজ ইত্যাদি।
শরীরে যত্নেও সময় দেন তিনি। কোনো ছবির কাজ করছেন না। দিল্লিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শুটিংয়ের কাজে যান। এ ছাড়া পরিপূর্ণ মায়ের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন এখন। তবে বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এখন সোশাল মিডিয়াকে বেশ কাজে লাগাচ্ছেন। অনেক বন্ধু হয়েছে জীবনে। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেন।
তাহলে শিল্পার একটি দিন সাধারণত কিভাবে যায়? জানালেন, আমি উঠি সকাল ৬টায়। সোয়া ৭টা পর্যন্ত অনেক ব্যস্ততা থাকে। এরপর কোনো কাজ না থাকলে ব্যায়াম করেন। ইয়োগা করেন। এ কাজে টানা ৪৫ মিনিট সময় দেন। এরপর ১০ মিনিট জিরিয়ে নেন নিজের বাগানে। অফিস বা বাড়িতে সময় দেওয়ার পর ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে ছোটেন। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে পরিবারের সঙ্গে ডিনার করেন। রাত ১১টার মধ্য বাড়ির সব বাতি নিভে যায়।
সকালে সবাই মিলে ভারতীয় খাবার খান পেট পুরে। এতে থাকে আপেল এবং দই। কিছু চেরিও থাকতে পারে। সকালে তিন ধরনের ফল রাখার চেষ্টা করেন। অনেক সময় এগুলোর সঙ্গে আলমন্ড মিল্ক দিয়ে ব্লেন্ড করেন। মাঝে মাঝে দিনে দুটো করে ডিম খান। চা খান, তবে চিনি ছাড়া। গ্লুটেন ফ্রি খাবার খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে সবচেয়ে বেশি খান দুপুরে। আর রাতে হালকা খাবার।
ইয়োগা শিখেছেন ঘাড়ের ব্যায়ামের জন্য। আস্তাঙ্গা ইয়োগা চর্চা শুরু করেন। শিভ কুমার মিশরার কাছ থেকে ইয়োগা শিখেছেন। তিনিই তার শিক্ষক। সূত্র : এনডিটিভি
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ / ১১-১১-২০১৬ ইং / মো: হাছিব