ক্রীড়া ডেস্ক,
১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯২ রান। তাহলে বাকি ১০ ওভারে কতো হওয়া উচিৎ? এই প্রশ্ন শুনে ১৮০/১৯০ রানের কথা আপনি ভাবতেই পারেন। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজা বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়কই খুলনা টাইটান্সের প্রথম ৩ উইকেট নিলেন। গতি আটকালেন। তাতে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনা ৯ উইকেটে ১৪৪ রান করেও খুশি। এবারের বিপিএলে এটা যে তাদের সর্বোচ্চ রানের স্কোর!
বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। অথচ প্রথম দুই ম্যাচেই তারা হেরেছে। তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংসের দেওয়া ১৬২ রানের টার্গেট তাড়া করে হেরেছিল ২৯ রানে। এরপর মুশফিকুর রহীমের বরিশাল বুলসকে ১৩০ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৬ উইকেটে হেরেছিল। মাহমুদ উল্লাহর দলের বিপক্ষে মাশরাফির লড়াই আসরের প্রথম জয় তুলে নেওয়ার।
মাহমুদ উল্লাহর খুলনাও যথাক্রমে ১৩৩, ৪৪ ও ১২৭ রান করেছে। একটা লজ্জার। অন্য দুটি বলার মতো না। তবে মিরপুরে রবিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে দারুণ শুরু তাদের। ৪৫ রানে ওপেনিং পার্টনারশিপে। হাসানুজ্জামান (৩৭) ও আন্দ্রে ফ্লেচার (২৩) ৪.৪ ওভারে এই রান দিলেন। এরপর শুভাগত হোমের (১৬) সাথে ৪৭ রানের জুটি হাসানুজ্জামানের।
ফ্লেচার এবারের আসরে মাশরাফির প্রথম শিকার। আগের দুই ম্যাচে উইকেট পাননি। অন্যরা যখন মার খাচ্ছেন তখন আক্রমণে ফিরে ১১তম ওভারের প্রথম বলে শুভাগতকে আউট করলেন। ৭ রান পর ফেরালেন হাসানুজ্জামানকেও। লড়াইয়ে ফেরালেন বোলারদের।
সেই পথ ধরে সোহেল তানভির, প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লেগি রশিদ খান, নাজমুল হোসেন শান্ত অফ স্পিনে ভালো বল করলেন। মাহমুদ উল্লাহ (১১) ও অলক কাপালি (৩) নাজমুলের শিকার পর পর দুই ওভারে। ১১৭ রানে ৫ উইকেট থেকে উইকেট হারাতে হারাতেই শেষ পর্যন্ত গেছে খুলনা। শেষ চারের ৩ উইকেট তানভিরের। খুব বড় সংগ্রহ তারা পায়নি। মাশরাফি ও তানভিরের ৩ উইকেট। নাজমুলের ২টি। ১টি রশিদের।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ /১৩ -১১-২০১৬ ইং / মো: হাছিব