muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা ২০ নভেম্বর

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট,

 

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

 

রোববার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির প্রাক্তন কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমানকে আসামিদের পক্ষে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা পেছানোর জন্য আবেদন করেন। ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলাটিতে এ পর্যন্ত ৬৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

 

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময় ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

 

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য আসামিরা হলেন- মো. এহিবুল্লাহ, মুন্সী ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী নামক সংগঠনের সদস্য হন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জের বিসিক এলাকায় অবৈধভাবে সোনার বাংলা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি সাবান কারখানা স্থাপন করেন। সে কারখানায় অন্য জঙ্গিদের নিয়োগ দেন এবং সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে আসামি মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখতেন। প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসবেন, এ তথ্য জেনে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। বোমা তৈরির পর ২০০০ সালের ১৯ জুলাই সাবান কারখানার গাড়িতে করে নিয়ে সমাবেশস্থলের পাশে রাতের আধারে পুঁতে রাখেন।

 

 

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ /১৩ -১১-২০১৬ ইং / মো: হাছিব

Tags: