তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক,
দুই ডজনেরও বেশি দেশের ৩৫০টিরও বেশি সংখ্যক খামারের গরুগুলো স্মার্ট প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এদের পাকস্থলীতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে হট ডগ সাইজের একটি তারবিহীন সেন্সর।
তথ্য অনেকের কাছে বিদঘুটে লাগতে পারে। কিন্তু যারা বড় খামারি, তাদের গরুগুলোর স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন তথ্য জানতে এটি দারুণ কাজের হয়ে উঠেছে। যেকোনো সমস্যা আগে থেকেই যন্ত্রটি জানিয়ে দেবে টেক্সট এবং ই-মেইলের মাধ্যমে। এসব তথ্য চলে যাবে খামারি বা তার পশু চিকিৎসকের কাছে।
অস্ট্রেলিয়ার নতুন এক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্মাক্সটেক। তাদের বানানো সেন্সরটি বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত তথ্য নেয়। পাকস্থলীর পিএইচ, নড়াচড়া, কার্যক্রম এবং তাপমাত্রা ইত্যাদি তথ্য ৯৫ শতাংশ সঠিকভাবে নিতে পারে। গর্ভবতী গাভীর বিভিন্ন জরুরি তথ্য দেয় যন্ত্রটি।
যেকোনো খামারির কাছে গরুর উর্বরতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই গরুর মিলনের সময় হলেও যন্ত্রটি তথ্য সরবরাহ করতে থাকে। প্রতিবছর একটি গাভীর কাছ থেকে একটি করে বাছুর আশা করেন খামারিরা। এক ভেটেরিনারি নার্স জানান, যখন যন্ত্রটি কোনো অসুস্থতার তথ্য জানানে পারে না, তখন গরুটির প্রতি খেয়াল দিতে বলে।
এ যন্ত্রের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে ডিস্ট্রিবিউটরদের স্টার্টআপ কস্ট এবং ৬০০ ডলার লাগবে। তা ছাড়া খামারিরা প্রতিটি গরুর জন্য মাসে ১০ ডলারের বিনিময়ে সেন্সরটি ভাড়া করতে পারেন। গোটা বিশ্বে ১.৪ বিলিয়ন গবাদিপশুর স্বাস্থ্যের খবর রাখতে এ যন্ত্রটি দারুণ কাজের হতে পারে।
আপাতত স্মাক্সটেক আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং চীনের গবাদিপশুর জন্য যন্ত্র সরবরাহের চিন্তা করছে। এসব অঞ্চলের খামারে ২৫ হাজার গরু রয়েছে। সূত্র : ফক্স নিউজ
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ /১৫ -১১-২০১৬ ইং / মো: হাছিব