ক্রীড়া ডেস্ক,
ওয়েম্বলিতে মঙ্গলবার রাতে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মধ্যে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি ২-২ ড্রয়ে ম্যাচটি দীর্ঘদিন মনে রাখবে ফুটবল সমর্থকরা।
নিশ্চিত হেরে যাওয়া ম্যাচে শেষ মুহূর্তের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স,স্পেন সমর্থকদের জন্য জয়ের আনন্দের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।কারণ,ম্যাচ শেষ হতে তখন আর মিনিট কয়েক বাকি। ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা ইংলিশদের সামনে নিশ্চিত জয়ের হাতছানি। জয়োৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় সমর্থকরা। ঠিক ওই সময় দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালো স্পেন।
৯০ মিনিটের মাথায় এক গোল পরিশোধ করল স্পেন। আর অতিরিক্ত সময়ে আরও এক গোল করে নিশ্চিত পরাজয় এড়ালো ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।আর তীরে এসে তরী হারালো ইংলিশরা।
দুই দলের গত পাঁচ ম্যাচের পরিসংখ্যানে পিছিয়েই ছিল ইংল্যান্ড। চার হার ও এক জয়। তবে ২০১১ সালের নভেম্বরে ওই একটি মাত্র জয়ই স্পেনের বিপক্ষে ইংলিশরা পেয়েছিল ওয়েম্বলিতে। চেনা মাঠে পাঁচ বছর আগের পুনরাবৃত্তি হতে হতেও হলো না ইংলিশদের।
ম্যাচের নবম মিনিটেই পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। লালানার লম্বা করে বাড়ানো বল ডি বক্সের মধ্যে ভার্ডি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর তাকে ফেলে দেন স্পেন গোলরক্ষক পেপে রেইনা।
স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি লালানার। জাতীয় দলের হয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন তিনি।
গোছানো আক্রমণ থেকে দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় ইংল্যান্ড। জর্ডান হেন্ডারসনের মাপা ক্রসে ভার্ডির নীচু হয়ে ঝাঁপিয়ে নেওয়া বুলেট গতির হেড ঠিকানা খুঁজে পায়। এ নিয়ে ১৪ ম্যাচ ধরে চলা গোল খরা কাটালেন লেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।
দুই গোল হজম করে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে স্পেন।
৫৬তম মিনিটে সিলভার শট আটকে ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচে ফিরতে দেননি জো হার্টের বদলি নামা গোলরক্ষক টম হিটোন। এরপর কোকের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শটও জমে যায় হিটোনের গ্লাভসে।
দুই বদলি খেলোয়াড়ের দারুণ বোঝাপড়ায় ৯০তম মিনিটে ম্যাচে ফেরে স্পেন। মাঝ মাঠ থেকে আক্রমণে যাওয়া আলভারো মোরাতার পাস ধরে ডান দিক থেকে ডি বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইয়াগো আসপাস।
মরিয়া হয়ে আক্রমণ শানানো স্পেন সমতায় ফেরা গোলও পেয়ে যায় ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে। দানি কারবাহালের লম্বা করে বাড়ানো ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে হিটোনকে পরাস্ত করে ইসকো।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ১৬-১১-২০১৬ ইং / মো: হাছিব