muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জ সদর

কিশোরগঞ্জে সাহসী পাড়ায় রাতের আধারে চলছে রমরমা মাদকও জুয়ার আড্ডা

 

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,

 

কিশোরগঞ্জ জেলার ৮ নং মারিয়া ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের বাগাদিয়া গ্রাম, এর পাশের এলাকা করমূলী তার পাশে সাহসী পাড়া । এটি জনবহূল এলাকা, এখানে অধিকাংশ মানুষ দিন মজুর এবং বেকারও বটে । এ পাড়াটি সব ছেলে মেয়েরা লেখা পড়ায় মনযোগী নয় । যারা অমনোযোগী তারা লেখা পড়া বাদ দিয়ে বাজে কাজে লিপ্ত হচ্ছে যেমন মাদক গাজা, ইয়াভা, জুয়া ইত্যাদি, জুয়াখেলা ও মাদক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য এলাকার চেয়াম্যান মেম্বার ও কিছু গন্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে ৩-৪ বার দরবার হয় । ২টি দরবার হয় সুলতান ভূঁইয়া মসজিদের সামনে  আর বাকী গুলো মেম্বার সাহেবের বাড়ির সামনে । যারা  এই কাজে জড়িত তারা শপথ করেছিল যে তারা আর মাদক ব্যবসা ও জুয়ার ব্যবসা করবে না তা বন্ধ করে দিবে কিন্তু তারা এখনো বন্ধ করেনি । তারা প্রতিনিয়ত এগুলো চালিয়ে যাচ্ছে এমনকি  এর জন্য এলাকার অনেক যুবকেরা   যাদের হাতে আজ থাকার কথা বই খাতা তা না থেকে তাদের হাতে আজ নিশার দ্রব্য ।  সাধারনত জুয়ারিরা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের  মান্য করে না বরং তারা তাতে বাধা দিতে গেলে অনেক ভয় ভীতি দেখিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে তারিয়ে দেওয়া হয়    ।  সুলতান ভূইয়া মসজিদের পাশে গুরস্থানের পশ্চিম পাশে কুড়ুই গাছের নিচে সন্ধার পর থেকে শুরু হয় জুয়ারিদের রমরমা জুয়ার আড্ডা । সন্ধার পর সাধারন মানুষ ঐ জায়গায় যেতে ভয় পায় প্রায়েই চিন্তাই ডাকাতি রাহাজানি  ইত্যাদির মত অপরাধ কর্ম কান্ড ঘটে থাকে । এ জুয়া খেলার লিডার মুনতাজ, রফিক, শরিফ । মুনতাজ মিয়া হচ্ছেন বর্তমানে উভায় পার্কের দারুয়ান হিসাবে কর্মরত । রফিক,জিহাদ,  মুনতাজ মিয়া এরা  তিনজন জুয়া ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে  জড়িত । তাদের এই মাদক ব্যবসায় বলি হচ্ছে এলাকার ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা   অল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তারা তাদের স্বার্থ উদ্ধার করতে পারে সেই জন্য এই কাজে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে তারা তাদের  হাতিয়ার হিসাবে নিচ্ছে যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাদের কে   ‍কু পথে নামিয়ে তাদের ভবিষ্যৎটা নষ্ট করে  তাহদের হাতে তুলে দিচ্ছে মাদক  । যার ফলে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে যুবসমাজ ।আর এদের মধ্যে যারা জুয়ারি জুয়া খেলে তারা বেশীর ভাগেই  দরিদ্র ও বেকার যার কারনে তাদের পরিবারে সবসময় কিছু না কিছু বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাধ ও অশান্তি লেগেই থাকে ।পরিবারের স্ত্রী সন্তানেরা অনেক সময় না খেয়ে কোন রকম মানবেতার জীবন যাপন করছে  ।এর প্রতিবাদ করতে গেলে অনেক সময় জুয়ারিরা তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের গায়ে হাত তুলতেও কাপর্ন বোধ করে না । ছেলেমেয়েদের লেখা পড়াতো দূরের কথা তাদের অনেক সময় তাদের ২ বেলা খাওয়াও জুটে না ।এমনি   ভাবে আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এলাকার যুবসমাজ তারা জুয়া ও বিভিন্ন নেশা গ্রস্থ হয়ে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনিষ্ঠ করছে । এদের মত কিছু নর পশুর জন্য এলকার সুন্দর সমাজ আজ ধ্বংসের পথে   । সাহসী পাড়ার লোকজন  মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকমকে জানায় যে সুন্দর সমাজ  ও সামাজের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিষয়টি   মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকমের মাধ্যমে  প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি ও আন্তরিকতা  কামনা করছি  ।  যাতে আর কোন যুব সমজা তাদের হাতে বলি না হয়ে ছাত্র জীবনের পড়ালেখার বন্ধ করে নেশাগ্রস্থ  ও জোয়া খেলায় আসক্তি না হয়  । ও সাধারন মানুষদের স্বাভাবিক জীবন যাপন যাতে  ব্যহত না হয় সেই দিকটা নজরে রেখে প্রশাসন এর একটি স্থায়ি সমাধান ও জনগনের জানমালের   নিরপত্তা নিশ্চিত করা কারা হউক  ।

 

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/  ২০-১১-২০১৬ ইং / মো: হাছিব

 

Tags: