আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ:
সংস্কৃতি হলো মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে টিকে থাকার কৌশল যা ভৌগলিক, ধর্মীয়, সামাজিক ও জৈবিকসহ নানা বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। সংস্কৃতির মূল উৎস ধর্ম। সে অর্থে ধর্মের সবটুকুই সংস্কৃতি, কিন্তু সংস্কৃতির সবটুকুই ধর্ম নয়। সেখানে নৃতাত্ত্বিক কিংবা ভৌগলিক আচার-প্রথাও অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেমন বর্তমানে আমাদের ভৌগলিক জাতীয়তা হচ্ছে বাংলাদেশী, ভাষা ও নৃতাত্ত্বিক জাতীয়তা হচ্ছে বাঙালী এবং দেশের নব্বই ভাগ মানুষ হচ্ছে মুসলিম। এখানে ভাষা ও নৃতাত্ত্বিক উৎস গৌণ। বরং ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক নয় এমন নৃতাত্ত্বিক ও ভাষাভিত্তিক সংস্কৃতিও আবহমানকাল ধরে এখানকার সুস্থ ও গ্রহণযোগ্য সংস্কৃতি হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে । কিন্তু কিশোরগঞ্জের বিনোদনের স্থান গুলোতে নোংরামীতে সয়লাব হয়ে পড়ছে। এতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নেই কোন নজরদারী।
কিশোরগঞ্জের বিনোদনের স্থানগুলোতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন দর্শনার্থীরা।কিশোরগঞ্জের নেহাল পার্ক,উবাই পার্ক বিশেষ করে নরসুন্দা লেকসিটির দুই তীর এখন সন্ত্রাসী,ছিনতাইকারী আর বখাটেদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দলভেদে ছেলেমেয়েরা লাগামহীন চলাফেরায় উঠতি যুব সমাজ মারাত্বক চরিত্র ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী নরসুন্দা নদীর তীরে আসা সুস্থ দর্শনার্থীরাও প্রতিনিয়ত নানা ঘটনার শিকার হচ্ছেন। একদল বখাটেদের দ্বারা প্রায়ই নারী-পুরুষরা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। আর নারীরাও ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন। বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পথচারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোক্তভোগী শিকারও হয়েছেন তাদের লালসার।
নিউটাউনের বাসিন্দা রায়হান জানান, নরসুন্দা নদীর লেকসিটির সৌন্দর্য দেখতে এসেছিলেন আজ। নরসুন্দা নদীর তীরে নির্মাণাধীন নাগরদোলা দেখে বাসায় ফেরার পথে কয়েকজন বখাটে ছেলে এসে তাকে ঝাপটে ধরে। পরে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার সাথে থাকা মোবাইল সেট ও নগদ ১৫ শত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসবের প্রতিবাদ করায় তাকে মাথায় আঘাত ও রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বিকালবেলা নরসুন্দা নদীতে ঘুরতে এসে দেখেন দলভেদে বখাটেরা ঘুরাঘুরি করছে। সুযোগ পেলেই মেয়েদেরকে হয়রানী করছে। এমনকি সাধারণ মানুষকেও বিপাকে ফেলে সুবিধা আদায়ের কাজে লিপ্ত থাকে।
কয়েকজন দর্শনার্থীরা জানান, রাতে তো লেকসিটির পাশ দিয়ে যাওয়াই কঠিন। মাদকের দুর্গন্ধে পথচলা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মেয়েদেরকে কৌশলে এনে নানা অঘটন ঘটিয়ে থাকে এসব বখাটেরা। স্থানীয় দর্শনার্থী ও ভোক্তভোগীরা নানা অপকর্মে জড়িতদের শাস্তি ও প্রতিকারসহ নিরাপত্তার দাবী করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/৩০-১১-২০১৬ইং/ অর্থ