মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট :
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এইডস মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, এইডসের মতো রোগ বাংলাদেশে থাকতে পারে না। যেভাবেই হোক ২০৩০ সালের মধ্যে এ দেশকে এইডস মুক্ত করা হবে। এজন্য সর্বস্তরে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মলিনায়তনে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের সুফলের সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনেক কুফলও ভোগ করি। এর অন্যতম হলো এইডস। এক সময় আমাদের দেশে এই রোগ সম্পর্কে কারও ধারণাও ছিল না। বিশ্বায়নের কারনেই বাংলাদেশে এই রোগ এসছে। জীবিকার তাগিদে অনেকেই বিদেশে যায়। সেখানে গিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেকে নানা ধরনের সমস্যায় পড়ে। এভাবেই দেশে ফিরে আসার সময় হয়তো নিজের অজান্তেই সঙ্গে করে এইডস নিয়ে আসে। তারপর সেটি অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পরে।
নাসিম বলেন, ব্যবহৃত সুই, সিরিঞ্জ, এমনকি রক্তের মাধ্যমেও এইডস ছড়াতে পারে। রাজধানীর যত্রতত্র ব্লাড ব্যাংক গড়ে উঠেছে। কিছু মানুষ মুনাফার জন্য এসব ব্লাড ব্যাংকে রক্ত কেনাবেচার কাজ করে। রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত নেয়ার সময় তা পরীক্ষা করা হয় না।
এসব অবৈধ ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হবে। যেভাবে ভুয়া ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি এইডস বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে মসজিদের ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কলাম আজাদ, পরিরবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. ওয়াহিদ হোসেন, ন্যাশনাল এইডিস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টার ডা. আনিসুর রহমান, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।
পিএমটিসিটি প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৮ জন এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মাকে পিএমটিসিটি কার্যক্রমের আওতায় সেবা প্রদান করছে। ইতিমধ্যে ৩৮ জন মা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছেন। এ পর্যন্ত ৩২ জন শিশু পরীক্ষার মাধ্যমে এইচআইভি মুক্ত হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/০১-১২-২০১৬ইং/নোমান