মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট,
হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পে মহান বিজয় দিবসে চালু হচ্ছে ৬টি ‘ওয়াটার ট্যাক্সি’। ইতোমধ্যে ট্যাক্সিগুলো হাতিরঝিলে এসে পৌঁছেছে। সোমবার সকালে গুলশানের নিকেতনের মূল গেটের বিপরীতে হাতিরঝিল প্রকল্পের আওতাধীন খালি জায়গায় এগুলো রাখা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এফডিসি মোড়ের টার্মিনাল থেকে রামপুরার মহানগর প্রোজেক্ট গেট, বেগুনবাড়ি ও মেরুল বাড্ডা রুটে তিনটি করে ওয়াটার ট্যাক্সি চলবে। অস্থায়ী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫-৩০ টাকা। তবে তিন মাস পর এ ভাড়া সমন্বয় (কমাতে) করা হতে পারে। প্রতিটি ট্যাক্সি তৈরিতে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিটিতে ৪৫ জন যাত্রী উঠতে পারবে। নতুন চকচকে ট্যাক্সিগুলো দেখতে সোমবার সকাল থেকে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা। ঢাকা শহরে প্রথমবারের মতো এমন বাহন দেখে সেলফি তুলতে ভুল করছেন না কেউ। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ১৬ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পর ট্যাক্সিগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে ওয়াটার ট্যাক্সির টিকিট কাউন্টারগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ চলছে।
কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে এ ট্যাক্সিগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়। পরে সোমবার সকালে এগুলো হাতিরঝিলে এনে রাখা হয়।
হাতিরঝিল প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের একটি কারখানায় ৬টি ওয়াটার ট্যাক্সির কাঠামো তৈরি হয়েছে। বোট তৈরির ফাইবারগুলো এসেছে সিঙ্গাপুর থেকে এবং ইঞ্জিনগুলো আনা হয়েছে চীন থেকে। এর ভেতরে থাকবে একটি করে ছোট ক্যান্টিন যেখানে কেক, বিস্কুট ও হালকা খাবার পাওয়া যাবে। ‘মেসার্স ওয়াহিদ মিয়া’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০ বছর এ ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস পরিচালনা করবে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ২০০৭ সালে ৩০২ একর জমির ওপর হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়।
এরপর প্রায় তিন বছর হাতিরঝিলে কোনো গণপরিবহন ছিল না। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে হাতিরঝিলে চালু হয় চক্রাকার বাস সার্ভিস। কিন্তু বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোগান্তি কমছিল না। তাই জনভোগান্তি কমাতে প্রকল্প এলাকায় এই ট্যাক্সি সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। এ সার্ভিসের মাধ্যমে যাতায়াতের পাশাপাশি নগরবাসী নৌ-ভ্রমণের আনন্দও নিতে পারবেন।
 
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ০৫- ১২-২০১৬ ইং / মো: হাছিব
 
            
            
                