রামগড় ও হালদাভ্যালী চা বাগানে এবার রেকর্ড পরিমান চা উৎপাদন হয়েছে।
বাগান দুটিতেই এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অধিক পরিমাণ চা উৎপাদনের জন্য অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি এ বছরকে চায়ের ফেভারিট সাইকেল বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে উৎপাদনের এ সাফল্য ধরে রাখতে সেচ সামগ্রীর আমদানি কর হ্রাস, স্বল্প সুদে ঋণ ও গ্যাস সুবিধার দাবি জানিয়েছেন বাগান মালিকরা।
রামগড় চা বাগান এবং হালদাভ্যালী চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত বছর হালদাভ্যালী বাগানে মোট উৎপাদন হয়েছিল ৬ লাখ ২০ হাজার কেজি। চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ লাখ ২০ হাজার কেজি। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয়ভাবে প্রতি হেক্টরে চা উৎপাদনের পরিমাণ ১২৭০ কেজি। কিন্তু হালদাভ্যালীতে এবার উৎপাদন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৩২০০ কেজি। রামগড় চা বাগানে এবার সাত লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় এক লাখ কেজি বেশি। এ বছরের বাগান দুটিতে চা উৎপাদনের পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। গুণগত মানের দরুণ চায়ের দামও এবার ভাল উঠেছে। সর্বশেষ নিলামে হালদাভ্যালীর প্রতি কেজি চায়ের মূল্য ২২০ টাকা এবং রামগড় বাগানের চা কেজি প্রতি ২১৯ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ১০- ১২-২০১৬ ইং / মো: হাছিব
Tags: