রকমারি ডেস্ক,
মাটির নিচে ১৮ তলা এক শহরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই শহরে অন্তত ২০ হাজার মানুষের বসবাস ছিল।
তুরস্কের কাপ্পাদকিয়া অঞ্চলে হাজার বছরের পুরোনো এই শহরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
১৯৬৩ সালে এক ব্যক্তি তাঁর বাড়ির সংস্কারকাজ করার সময় হঠাৎ করেই এই শহরটির সন্ধান পান। তাঁর ভূগর্ভস্থ বাড়ির একটি দেয়ালে আঘাত করার পর তিনি নিচে একটি গোপন কক্ষে পড়ে যান। এখান থেকে একটি সুড়ঙ্গ খুঁজে পান তিনি। এই পথ দিয়ে গিয়ে তিনি লুকানো প্রাচীন শহর দেরিনকুয়ুর সন্ধান পান।
সংরক্ষিত এই শহরের ছবিগুলো দেখে জানা যায়, গৃহপালিত পশু, খাদ্যসহ ২০ হাজার মানুষ মাটির নিচে এই ১৮ তলা শহরে বসবাস করে থাকতে পারে।
৭৮০ থেকে ১১৮০ খ্রিস্টাব্দে বাইজেন্টাইন আমলে এই শহর স্থাপন করা হয়েছে। এই শহরে রান্নাঘর থেকে শুরু করে আস্তাবল, কবরস্থান, গির্জা, কূপ, সামাজিক কক্ষ এবং স্কুল ছিল। অনেক বাংকারের সন্ধান পাওয়া যায়। সম্ভবত এগুলো আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাসিন্দারা ব্যবহার করত।
এই প্রাচীন শহরে গুহার সন্ধান পাওয়া গেছে। যেখানে খ্রিস্টানদের উপাসনালয় ও গ্রিক শিলালিপি রয়েছে। এই শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য প্রায় ৬০০টি প্রবেশপথ রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিহত করার জন্য দেরিনকুয়ু শহরে প্রবেশপথ ভেতর থেকে ভারী পাথরের দরজা দিয়ে বন্ধ করা হতো এবং প্রতিটি তলা আলাদা আলাদাভাবে বন্ধ করা যেত।
কয়েক মাইল দীর্ঘ সুড়ঙ্গের মাধ্যমে এই লুকানো সম্প্রদায়ের অন্যান্য ভূগর্ভস্থ শহরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।
তবে দেরিনকুয়ুর প্রায় অর্ধেক পথ এখন প্রবেশযোগ্য। তারপরও বর্তমানে কাপ্পাদকিয়ায় এই শহর পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় আকর্ষণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
মধ্য আনাতোলিয়ায় এই ঐতিহাসিক অঞ্চল শিলা গঠন ও ‘রূপকথার ধূমপথ’ হিসেবে পরিচিত চূড়াসহ এর অবিশ্বাস্য ভূতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ১৬ – ১২-২০১৬ ইং / মো: হাছিব