রকমারি
মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ধুমধাম করে। বিয়েতে টাকা খরচ করার ব্যাপারে কোনো কৃপণতার ইচ্ছে ছিলো না তার। সব বাবা অবশ্য এমনই চায়। তবে ভারতের এক ধনী ব্যবসায়ী বাবার চাওয়া ছিল একটু অন্যরকম। তিনি মেয়ের বিয়ে উদযাপন করেছেন অন্যভাবে।
মহারাষ্ট্রের অজয় মুনোট মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে ৯০টি নতুন পাকা ঘর তৈরি করে দিয়েছেন গরিব দুঃখী মানুষের জন্য। একদিনে বিয়ের অনুষ্ঠানে অহেতুক রুপি খরচ না করে মানুষের উপকার হয় এমন কিছু করতে চেয়েছিলেন তিনি। মেয়ে শ্রেয়ার বিয়েতে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ লাখ রুপি খরচ করার ইচ্ছে ছিলো তার। কিন্তু এ ব্যাপারে পারিবারিক বন্ধু, স্থানীয় এক রাজনীতিকের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। শহরের বস্তিবাসীদের জন্য মোট ১০৮টি ঘর তৈরি করার পরিকল্পনা করেন ঐ ব্যবসায়ী। তবে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে ৯০টি বাড়ির তৈরির কাজ শেষ হয়।
বাবার এই মহৎ উদ্দেশ্যকে বাহবা দিয়ে নববধূ ও তার স্বামী খুশী মনে গরিব-দুঃখীদের হাতে তুলে দেন ঘরের চাবি। তবে ঐ ঘরের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে উপযুক্ত লোকদের বেছে নিতে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। যেমন ঐ লোককে অবশ্যই গরিব ও বস্তিতে বসবাসকারী হতে হবে। মদ বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা অথবা জুয়াড়ী হওয়া যাবে না। এ সব শর্ত যে পূরণ করতে পেরেছে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন ঘরের চাবি।
শুধু একটি ঘর নয়, সেখানে থাকার জন্য অতি প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির সংযোগও দিয়েছেন মুনোট। তিনি যেমন বড় মনের, তেমনি তার মেয়ে শ্রেয়াও উদার। তিনি বলেছেন, ‘বাবার এই সিদ্ধান্তে আমি খুব খুশি। আমার বিয়ের সবচেয়ে বড় উপহার মনে করছি আমি একে।’
প্রতিটি ঘর ১২ বাই ২০ বর্গফুটের। দুটি দরজা ও দুটি জানালা আছে প্রতিটি ঘরে। অন্য ধনী ব্যক্তিরাও তাদের সন্তানের বিয়েতে অযথা খরচ না করে, এ ধরণের মানবিক উপকারে এগিয়ে আসবেন আশা করে মুনোট বলেছেন, ‘এটি নতুন ইতিহাস শুরু করলো। আশাকরি অন্য ধনী ব্যক্তিরাও এভাবে গরিবদের সহায়তায় এগিয়ে আসবেন। সমাজে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। সেগুলো পূরণ করা উচিত।