রকমারি ,
বেনীআসহকলা। এই সাত রং মিলে হয় রংধনু। সাধারণত বৃষ্টির পর ঝলমলে রোদ উঠলে আকাশে রংধনু দেখা যায়।
রংগুলো আকাশে ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে উঠলে আমরা একে রংধনু বলি। তবে আকাশে সবসময়ই রংধনু দেখা যায় না। বৃষ্টির পরেই বেশির ভাগ সময় রংধনু দেখা যায়। কারণ তখন আকাশে পানির বিন্দুর এক প্রতিচ্ছবি তৈরি হয়।
কিন্তু সাপের মাথায় রংধনু? ব্যাপারটা সত্যিই চমক সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি সাতরঙা সাপের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, গত কয়েক বছরে গ্রেটার মেকং অঞ্চলে ১৬৩ রকম বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে লাওসে পাওয়া গেছে এক নতুন ধরনের ‘গেকো’ বা তক্ষক। তার রং রংধনুর মতোই।
জানা গেছে, মেকং নদীর উৎপত্তি তিব্বত অঞ্চলে এবং তার প্রবাহ চিনের হুনান, মায়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কাম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের মধ্যে দিয়ে। মেকং নদীর প্রবাহপথ জুড়েই রয়েছে অসংখ্য বিপন্ন প্রাণীর অভয়ারণ্য। বিপন্ন, কারণ এই অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গাতেই এই সব প্রাণী মেরে তা থেকে তৈরি হয় নানাবিধ ওষুধ। কোথাও ব্যবহার করা হয় তাদের হাড়, কোথাও নখ, কোথাও অন্য কোনও দেহাংশ।
ডব্লিউডব্লিউএফ`র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভয়ারণ্যে প্রতিনিয়ত বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীগুলো মারা যাচ্ছে। চোরাশিকারে ক্রমশই সংখ্যা কমছে এদের। এভাবে চলতে থাকলে ২০২০ সালের মধ্যেই হয়তো সিংহভাগ প্রাণীই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ২১- ১২-২০১৬ ইং / মো: হাছিব