মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট,
বাংলাদেশে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও দক্ষ নির্বাচন কমিশন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ‘উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন’ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে দেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনও চেয়েছে ইইউ।
গতকাল বুধবার ইইউ-বাংলাদেশ সাব গ্রুপের সুশাসন ও মানবাধিকারবিষয়ক দ্বিবার্ষিক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। ইইউর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইইউর সদর দপ্তর ব্রাসেলসে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য স্বাধীন, নিরপেক্ষ, উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন নির্বাচন কমিশন চায় ইইউ। ওই কমিশন সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনের আয়োজন করবে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। প্রথমেই বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রপতি। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টি, এলডিপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ইইউর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু, শিশুশ্রম ও পারিবারিক সহিংসতা নিয়েও নিজেদের উদ্বেগের কথা জানায় ইইউ।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থানকে সম্মান জানিয়েছে ইইউ। একই সঙ্গে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শরণার্থীদের সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে।
ওই সভায় ইইউর নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডিভিশনাল রিজিওনাল সার্ভিসের প্রধান ভেরোনিকা কডি। বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ২১- ১২-২০১৬ ইং / মো: হাছিব