muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

সুখ স্মৃতি নিয়ে ফিরতে চান মাশরাফিরা

ক্রীড়া ডেস্ক,

 

২০০০ সালে প্রথম টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। পরের বছর এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও দ্বিপাক্ষিক সফরে বাংলাদেশ চারটি ভিন্ন ভিন্ন দেশে টেস্ট খেলতে গিয়েছিল। পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কায় তেমন সুখকর অভিজ্ঞতা না হলেও কিছু ব্যক্তিগত অর্জন ছিল। কিন্তু এই নিউজিল্যান্ডে বলার মতো কিচ্ছু ছিল না। যাচ্ছেতাই পরাজয়ের পাশাপাশি এই সফর ইনজুরির ছোবল দিয়ে কেড়ে নিয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।

সেই থেকে আজ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ কোনোদিন কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতেনি।
এই লেখা যখন পড়ছেন, ততোক্ষণে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। সেই সাথে শুরু হয়ে যাওয়ার কথা নতুন চেহারার বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয়ের জন্য লড়াই।
নিউজিল্যান্ডে কোনো অতিথি দলই খুব ভালো ফলাফল নিয়ে ফিরতে পারে না। ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলও এখানে গিয়ে হিমশিম খায়। মূলত সফরকারীদের দুটো সমস্যা সামলাতে হয়—উইকেট ও বাতাস। নিউজিল্যান্ডের যেগুলো প্রাকৃতিক উইকেট   সেখানে এক ধরনের ‘স্পঞ্জি বাউন্স’ হয়; টেনিস বলের মতো। বল পড়ে একটু থেমে তারপর উঠবে। আবার ঘাসের জন্য আর কন্ডিশনের জন্য ন্যাচারাল মুভমেন্ট তো আছেই। এর সাথে কোনো কোনো মাঠে, বিশেষ করে ওয়েলিংটনে একদিক থেকে প্রবল বাতাস থাকে। এই বাতাসে অপরিচিত বোলারদের জন্য বল নিয়ন্ত্রণ বা ব্যাটিং করা, দুটোই খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এইরকম একটা দেশ থেকে বাংলাদেশকে প্রায় আড়াই বছর পর দেশের বাইরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার অভিযান শুরু করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সর্বশেষ দেশের বাইরে সিরিজ খেলেছে ২১০৪ সালে; ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
এরপরের এই লম্বা সময়টায় বাংলাদেশ ঘরের মাটিতে হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছে তারা; অল্পের জন্য সিরিজ জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে তাদের বিপক্ষে টেস্টে নিজেদের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম ক্রিকেট জয়টা এসেছে। এই বাংলাদেশ আগে তিন বার নিউজিল্যান্ড সফর করা সেই বাংলাদেশ নয়।
এই কারণেই এবারের সফরে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাস, রেকর্ড বদলে দেওয়ার একটা আশা সবাই করছেন। সেখানে অবস্থানরত কোচ-অধিনায়কও বলেছেন, এবার তারা সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরতে চান।

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/  ২৪ – ১২-২০১৬ ইং / মো: হাছিব

Tags: