আশরাফ আলী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ক্ষিরা চাষে বিপ্লব ঘটেছে। ক্ষিরা বিক্রি করে অধিক লাভবান হওয়ায় অত্যন্ত খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা। আজ ২৫ ডিসেম্বর রোববার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো: আক্তার জামীল সরেজমিনে তাড়াইল উপজেলার সাচাইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেড়নতলা গ্রামে ক্ষিরা ক্ষেত পরিদর্শনে গিয়ে চাষীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন। কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি তাড়াইলে ছুটে যান ক্ষিরা চাষীদের কাছে।
এসময় তিনি কৃষকের সাফল্য নিজের চোখে অনুধাবন করেন এবং কৃষকদের নিজের মুখে তাদের কাঙ্খিত সফলতার কথা শোনেন। উল্লেখ্য, এক সময় হাওর অঞ্চল কিশোরগঞ্জ জেলা মাছ ও ধান সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলো। এখন মাছ ও ধান চাষের পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষকেরা দিনদিন সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষকদের আবাদকৃত বিভিন্ন শাক-সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছাতে শুরু করেছে।
এদিকে তাড়াইল উপজেলার কৃষকেরাও এখন বিভিন্ন সবজি চাষ শুরু করেছে। এবছর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কৃষকেরা আবাদ করেছে ক্ষিরা। ক্ষিরা চাষের সুফলও তারা পেতে শুরু করেছে। কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো: আক্তার জামীল বলেন, এবার তাড়াইলে অধিক পরিমানে ক্ষিরা চাষ হয়েছে। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
তিনি বলেন, অল্প সময়ে ও স্বল্প খরচে লাভবান হবার জন্য ক্ষিরা চাষের জুড়ি নেই। ক্ষিরা চাষ লাভজনক হওয়ায় এখানকার কৃষকেরা ক্ষিরা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। অবকাঠামোগত সুবিধা দেয়া গেলে এবং সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ওই এলাকার চাষীরা ক্ষিরা চাষে আরও সাফল্য ও লাভবান হতে পারবেন বলে এডিসি জেনারেল জানান।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৫-১২-২০১৬ইং/ অর্থ