বাংলাদেশে ও ভারতের ছিটমহলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে মূল ভুখন্ডের সাথে যুক্ত হওয়ার পর সেখানকার বাসিন্দারা এখন উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছেন।
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা গোলাম মোস্তফা বলছেন, তারা চান দ্রুত উন্নয়ন, এবং অগ্রাধিকার চান শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎও যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
“আমরা জরুরি ভিত্তিতে চাই প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা, এবং প্রসূতি মায়েদের জন্য মাতৃমঙ্গল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।”
বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাতকারে গোলাম মোস্তফা বলছেন, “আমরা চাই জরুরি ভিত্তিতে এই অন্ধকার এলাকাগুলোকে আলোকিত করার জন্য বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা, আর যোগাযোগের জন্য পাকা রাস্তা।”
দেশের মূল ভূখন্ডের সাথে সংযুক্ত হওয়ায় ছিটমহলবাসীদের ৬৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে, বিচ্ছিন্নতা কেটেছে। নাগরিকত্বের অধিকার প্রাপ্তির পাশাপাশি এখন ছিটমহলবাসীদের চাওয়া জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন।
তবে গোলাম মোস্তঢা বলছেন, ৬৮ বছর যাবৎ এখানে ভুমি ব্যবস্থা বলতে কিছু ছিল না, ছিটমহলগুলোতে কেনি ভূমি অফিসও নেই।
তাই স্থানীয় নেতাদের সাথে নিয়ে এখানে ভুমির মালিকানার বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করা দরকার, বলেন তিনি।
মি. মোস্তফা জানান, ইতিমধ্যেই সরকার প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে একটি জরীপের কাজ শুরু করেছে, তাছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন এখানে ১০০টি মক্তব-মাদ্রাসায় গণশিক্ষার কাজ শুরু করেছে।