muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

বর্ষা মৌসুমে কেন টেস্ট সিরিজের আয়োজন?

stadioum
ঢাকায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যেকার দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলাও বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয়ে গেছে। এই নিয়ে টানা তিনদিন ম্যাচটির একটি বলও মাঠে গড়ালো না।

এখন যে পরিস্থিতি তাতে আগামীকাল (সোমবার) ম্যাচটির শেষ দিনের খেলা হলেও কোনও ফলাফল আসার সম্ভাবনা নেই। একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল চট্টগ্রামের প্রথম ম্যাচটিতেও,

যা বৃষ্টির কারণে ড্র হয়ে যায়।

কিন্তু বছরের এই সময়ে বাংলাদেশে স্বাভাবিক নিয়মে বৃষ্টিপাত হবে এটা তো জানা কথা। সেটা কি দ্বিপাক্ষিক এই সিরিজ আয়োজনের সময় মাথায় ছিল না?

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলছেন, এর কারণ – র‍্যাংকিংয়ের উপরের দিকের দলগুলো বাংলাদেশকে মিনো বা ছোট দল মনে করে। ফলে বছরের ভাল সময়ে তারা বাংলাদেশের সাথে খেলতে চায়না, বরং বড় বড় দলের সাথে সিরিজের পরিকল্পনা করে।

মি. ইউনুস বলেন, ‘২০১০ সালে যখন এফটিপি (ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা) হয়, তখন আমরা বারবার দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডকে বলেছি, ওই সময়ে বৃষ্টি হবে অনেক। আপনারা অন্য সময়ে করুন। ২০১৪ সালেও আবার মনে করিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তারা জবাব দিয়েছেন, ওই সময়ে না খেললে বাংলাদেশ ২০২৩ সালের আগে আর দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সিরিজ পাবে না। ফলে বড় দলের সাথে খেলার স্বার্থে আমাদেরকে তা মেনে নিতে হয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, অস্ট্রেলিয়া বা ভারতও বাংলাদেশের সাথে একই আচরণ করে। তারা বাংলাদেশকে সবসময় মিনোস বা ছোট দল মনে করে আসছে। ফলে বছরের ভাল সময়ে তারা বাংলাদেশের সাথে খেলতে চায়না। ওইসময়ে তারা বড় বড় দলের সাথে সিরিজের পরিকল্পনা করে। আর বর্ষার মতো খারাপ ঋতুতে বাংলাদেশকে সময় দেয়’।

বৃষ্টির কল্যাণে টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের এক নম্বর দলের সাথে টেস্ট সিরিজ ড্র হয়ে যাবে, এটা এখন প্রায় নিশ্চিত।

বৃষ্টির সুবিধা নিয়ে পরাক্রমশালী একটি দলের বিপক্ষে এই ‘অর্জনের’ জন্যই কি এই সময়ে টেস্ট সিরিজ আয়োজনের উদ্দেশ্য?

‘একেবারেই না’, বলছেন জালাল ইউনুস।

‘আপনারা দেখেছেন, প্রথম টেস্টে যে কদিন খেলা হয়েছে তাতে বাংলাদেশই এগিয়ে ছিল। ফলে বাংলাদেশ এখন আর এই জায়গায় নেই, যে যেনতেন প্রকারে জয় বা ড্র তুলে নিতে হবে। আমরা ওডিআই র‍্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়েছি। টেস্টেও উন্নতি করেছি। খেলা হলে আমাদের পক্ষেই ফলাফল আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল ছিল’। বলছিলেন মি. ইউনুস।

জালাল ইউনুস আরো বলছেন, পরিস্থিতি এখন বদলাচ্ছে। “আমরা আশা করছি দলের এখনকার পারফর্মেন্স অব্যাহত থাকলে দু-এক বছরের মধ্যেই ক্রিকেট মৌসুম বলে পরিচিত শুষ্ক মৌসুমে আমাদেরকে খেলতে আমন্ত্রণ জানাবে র‍্যাংকিংয়ের উপরের দিকের দলগুলো।

Tags: