নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে কোনো শিক্ষার্থীই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।চার মাস আগে জারি করা একটি পরিপত্র বাতিল করে রোববার নতুন আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি থাকলে শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ১ মার্চ ওই পরিপত্র জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্রে স্বাক্ষর করেন শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান।
মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব অসীম কুমার কর্মকারের স্বাক্ষরে নতুন আদেশে বলা হয়েছে, আগের সেই পরিপত্র জারির পর শিক্ষক-অভিভাবক, শিক্ষার্থী-শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের মধ্যে ‘বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হওয়ায়’ তা বাতিল করা করা হল।
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস না করলে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য পাঠানো মোটেই কাম্য নয়।
আদেশে বলা হয়েছে, ‘যোগ্যতাবিহীন’ শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় পাঠানো হলে নিয়মিত ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপর এর ‘বিরূপ প্রভাব’ পড়বে। এজন্যই পাবলিক পরীক্ষার আগে নির্বাচনী পরীক্ষার আয়োজনের ধারাটি প্রচলিত হয়েছে।
শুধুমাত্র ৭০ শতাংশ ক্লাসে হাজিরার ভিত্তিতে নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হবে এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার গুরুত্ব হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। এতে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
তবে অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো কারণে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় বসতে না পারলে তার আগের ‘অ্যাকাডেমিক রেকর্ড’ ও ক্লাস কার্যক্রমের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান চাইলে তাকে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে পারেন বলে আদেশে উল্লেখ রয়েছে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে জটিলতার পর শিক্ষামন্ত্রী এবং সচিবের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। মন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাই কোনো আদেশ জারি করতে পারবেন না বলে নির্দেশনা জারি করেন নাহিদ।
সচিব নজরুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়া পর বেশ কয়েকটি পরিপত্র জারি করেন। এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সচিবের পরিপত্র জারির একদিন পরেই তা স্থগিত করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সূত্র: বিডি নিউজ।