মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট,
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কাউন্টার টেররিজম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’দুইজন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলশান হামলার অন্যতম হোতা নব্য জেএমবির নেতা নুরুল ইসলাম মারজান ও তার এক সহযোগী সাদ্দাম নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসায়। রাত ৩টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে করে তারা সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে তারা গ্রেনেড ছোড়ে ও গুলি করে। পরে পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে দুইজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মোহাম্মদপুর থানার গাড়িতে করে এক পুলিশ গুলিবিদ্ধ দুইজনের লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের একজনের আনুমানিক বয়স ২৮, আরেকজনের ৩২। নিহতদের মরদেহ ঢামেক মর্গে রয়েছে।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর জঙ্গি হামলার পর তদন্তে মারজানের নাম বের হয়ে আসে। পুলিশের পক্ষ থেকে মারজানকে ওই হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী বলে উল্লেখ করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মারজানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/০৬ -০১-২০১৭ইং / মো: হাছিব