মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন ১৬টি অভিন্ন নদীর সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ। নদীগুলোকে অভিন্ন নদী হিসাবে ঘোষণা করার জন্য ভারতকে তালিকা পাঠানো হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নদীগুলোকে অভিন্ন নদীর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা নদীগুলি চিহ্নিত করেছি এবং ভারতকে তালিকা পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই দেশের যৌথ নদী কমিশন এ বিষয়ে আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করবে।’
বাংলাদেশে মোট ৫৭টি অভিন্ন নদী আছে এবং এরমধ্যে ৫৪টি নদী ভারতের সঙ্গে এবং তিনটি নদী মিয়ানমারের সঙ্গে।
নতুন ১৬টি নদীর নাম হলো- হাড়িভাঙ্গা, সংকোষ, কর্ণঝড়া, সমেশ্বরি, মহারশি, উপদাখালি, মঙ্গলেশ্বর, মহাদেও, মহিষখোলা, রাঙ্গা বাগলি, কাশিমারা, চেলা, জালিয়াছড়া, লুবহা, লোহার ও কর্ণফুলি।
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) উপ নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বলেন, ‘আমরা দুই বছর গবেষণা করে এ ১৬টি অভিন্ন নদীর সন্ধান পেয়েছি এবং আমাদের রিপোর্ট যৌথ নদী কমিশনে জমা দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ নদীগুলোর কয়েকটি ছোট এবং শুষ্ক মৌসুমে তেমন পানি থাকে না। কিন্তু এগুলো অভিন্ন নদী হিসাবে স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে।’
পানির রাজনীতিকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে তিনটি পক্ষ আছে এবং তারা হচ্ছে দুটি দেশ এবং নদী নিজে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিন্ন নদীর পানি ব্যবহারের জন্য যখন দুই দেশ চুক্তি করে তখন নদীর জীবনের কথাও বিবেচনায় নিতে হবে। কারণ নদীর বেঁচে থাকার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমান পানি দরকার। যা কখনই ব্যবহার করার জন্য উত্তোলন করা উচিৎ নয়।’
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১০-জানুয়ারি-২০১৭ইং/নোমান