ক্রীড়া ডেস্ক :
হাতের নোট পরিবর্তনের মতই তাদের বান্ধবী পরিবর্তন হয়। আজ একজনের সঙ্গে তো কাল আরেকজনের সঙ্গে। কোথায় কতজন সন্তান তাদের রয়েছে, সে হিসেবেও নাকি তারা অনেক সময় জানেন না। বলা হচ্ছে পশ্চিমা সেলিব্রেটিদের কথা। তিনি যদি হন ক্রীড়াবীদ, তাহলে তো কথাই নেই। রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ উইঙ্গার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নারীভক্তির কথা সবারই জানা। ৩১ বছর বয়সে ৩১ বারেরও বেশি বান্ধবী বদল হয়েছে তার।
তবে, সর্বশেষ যার বাহুবন্ধনীতে তিনি ছিলেন, সেই রাশিয়ান মডেল ইরিনা শায়েকের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওযার পর রোনালদো কোথাও থিতু হতে পারছিলেন না। অনেকের সঙ্গেই তার সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল; কিন্তু সে সব গুঞ্জন কিংবা দু’একটা ছবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। রোনালদো আনুষ্ঠানিকভাবে কারও কথা প্রকাশ করেননি কিংবা প্রকাশ্য কোনো অনুষ্ঠানেও কাউকে নিয়ে উপস্থিত হননি।
তবে, এবার সম্ভবত রোনালদোর প্রেমের নৌকা এক জায়গায় গিয়ে ভিড়েছে। সেই সৌভাগ্যবতীর নাম জিওর্জিনা রদ্রিগেজ। স্প্যানিশ রদ্রিগেজ কিন্তু খুব বড় কোন নাম নয়। কিছুদিন মডেলিং করেছিলেন তিনি। এরপর মাদ্রিদেরই স্টেশনারী শপ গুচ্চি স্টোরের কর্মরত ছিলেন তিনি। জানা গেছে, গত বছরই রোনালদোর একাকিত্বের সময় নিজেই তিনি রিয়াল তারকার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত বছর ডোলকে এবং গ্যাবানা ইভেন্টে প্রথম সাক্ষাৎ হয় দু’জনের। তবে তাদের দু’জনকে একসঙ্গে দেখা যায় গত বছর নভেম্বরে প্যারিসে। এরপর থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের সব খেলাতেই রদ্রিগেজের উপস্থিতি যেন কাঙ্খিত একটি বিষয়। রিয়ালের প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারিতে নিয়মিত হয়ে ওঠেন জিওর্জিনা রদ্রিগেজ। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের সময়ও তাকে দেখা গেছে গ্যালারিতে।
জিওর্জিনা পড়ালেখা করেছেন মূলতঃ নাচ নিয়ে। লন্ডনে। পড়ালেখা শেষ করে লন্ডন্ডে নাম লেখান মডেলিংয়ে। সেখান থেকে মাদ্রিদে ফিরে আসার পর অবশ্য চাকরি নেন গুচ্চি স্টোরে। নিজের এলাকা জাকা ছেড়ে বসবাস করতে শুরু করেন মাদ্রিদে।
পরিচয়ের পর পরিনয়ে আবদ্ধ হতে ২১ বছর বয়সী জিওর্জিনা আর ৩১ বছর বয়সী রোনালদোর সময় লাগেনি। এখন তো তাদের সম্পর্কটা পুরোপুরিই প্রকাশ্যে উঠে এলো। জুরিখে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার অনুষ্ঠানে বান্ধবীকে নিয়েই হাজির হয়েছিলেন রোনালদো। সাথে ছিল তার ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। যখন বর্ষসেরা হিসেবে রোনালদোর নাম ঘোষিত হলো, তখন বান্ধবীর ঠোটে আলতো চুমু এঁকেই মঞ্চে ওঠেন সিআর সেভেন।
তার আগে সবুজ কার্পেটে ছেলে এবং বান্ধবীকে নিয়ে ছবির জন্য পোজ দেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। পুরস্কার জয়ের পরও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় পাশে রাখেন জিওর্জিনা রদ্রিগেজকে। বোঝাই যাচ্ছে, দু’জনের রোমাঞ্চ এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। যদিও নিন্দুকদের বক্তব্য, কতদিন টেকে রোনালদোর এই প্রেম, সেটাই দেখার বিষয়।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১০-জানুয়ারি-২০১৭ইং/নোমান