মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট,
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আগামীকাল রোববার শেষ হচ্ছে তাবলীগ জামাতের তিন দিনব্যাপী ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
বর্তমানে ইজতেমা ময়দান এলাকাজুড়ে এক পুণ্যময় পরিবেশ বিরাজ করছে।
দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি কামনার পাশাপাশি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি, সংহতি, অগ্রগতি এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ প্রার্থনা করে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বী আখেরি মোনাজাত পরিচলনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে এবং ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আখেরী মোনাজাত।
রাজধানীর উপকন্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত বহু কাঙ্খিত এই আখেরি মোনাজাতে লাখ লাখ ধর্ম প্রাণ মুসল্লী মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে রহমত ও হেদায়েত প্রার্থনা করবেন। নিজ নিজ গুনাহ্ মাফ ও আত্মশুদ্ধি ও ইবাদত বন্দেগী করতে ইজতেমা ময়দানে হাজার হাজার মুসল্লী অবস্থান নিচ্ছেন বলে বাসসের গাজীপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
আজ বাদ ফজর থেকে আল্লাহ পাকের অশেষ মহিমায় আবেগ-অপ্লুত লাখো মুসল্লীর কণ্ঠে উচ্চারিত ‘আমিন, আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠছে তুরাগ নদের তীর। অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণে ব্যাকুল হয়ে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন হাজার হাজার মুসল্লী।
তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বীর একজন মাওলানা আগামীকাল আখেরি মোনাজাত পরিচলনা করবেন। মোনাজাতের আগে তিনি ঈমান ও আমলের ওপর বিভিন্ন হেদায়েতী বয়ান করবেন বলে জানা গেছে।
প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমায় আখেরী মোনাজাতে বহির্বিশ্বের প্রায় ২০ সহস্রাধিক মুসল্লীসহ প্রায় ৪০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লী মোনাজাতে অংশ নিবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বিশ্ব ইজতেমা প্রথম দফায় তিন দিনব্যাপি মুসলিম বিশ্বের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েতের শেষ দিনে রোববারের আখেরি মোনাজাতে শামিল হতে আজ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাজধানী ঢাকা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, নরসিংদী, ভৈরব, সাভার, মানিকগঞ্জ, কালিয়াকৈর,কালীগঞ্জ, শ্রীপুর, কাপাসিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইজতেমা ময়দানে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, জীপ, কার এবং নৌকাসহ নানা ধরনের যানবাহনে ইজতেমা ময়দানের দিকে ছুটে আসছেন।
এছাড়া কাল ভোর থেকেই রাজধানীর খিলতেস্থ বিশ্বরোড থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
আগামীকাল ঢাকা থেকে আরো বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলপথ বিভাগ।
এদিকে মোনাজাতে অংশ নিতে যাতে মুসল্লীদের সুবিধা হয় তার জন্যে আজমপুর, উত্তরাসহ আশ- পাশের ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিশেষ মাইকের ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১৪ -০১-২০১৭ইং / মো: হাছিব