এমইপি (মেম্বারস অফ ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট) মানুষের সঙ্গে রোবট, অ্যান্ড্রয়েড এবং অন্যান্য এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) কিভাবে সম্পর্ক স্থাপন করবে তার ওপর বিস্তৃত নীতিমালা প্রস্তাব করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “এই যন্ত্রগুলো নতুন শৈল্পিক বিবর্তনে প্রভাব ফেলবে যা সমাজের কোনো স্তরকে বাইরে রাখবে না। প্রায় সকল অত্যাধুনিক স্বচলিত রোবটকে ইলেক্ট্রনিক পারসন-এর পদমর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। এরসঙ্গে নির্দিষ্ট অধিকার এবং সীমাবদ্ধতা প্রতিষ্ঠা করা হবে যার মধ্যে তাদের কারণে ঘটা ভালো এবং ক্ষতিকর দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
রোবটদের জন্য মর্যাদার পরিবর্তনের আলোচনা হওয়া সত্বেও প্রতিবেদনে বলা হয় আইনগুলোর মধ্যে সকল যন্ত্রের জন্য ‘কিল সুইচ’ (ইলেক্ট্রনিক পণ্যের জন্য যেকোনো সময় তার সক্রিয়তা বন্ধ করে দেওয়ার সুইচ) আইনটি অন্তর্ভুক্ত।
ব্যবহারকারীর সঙ্গে রোবটের পারস্পরিক যোগাযোগ হতে হবে “ঝুঁকিমুক্ত বা শারিরীক এবং মানসিক ক্ষতির ভয় ছাড়া।”
ইউরোপিয়ান সংসদের এমন পদক্ষেপে সম্মতি জানাননি অনেকেই। বিবিসি-কে আইনী প্রতিষ্ঠানের অংশীদার লর্না ব্র্যাজেল জানান, অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রানীর চেয়ে রোবটের ‘ব্যক্তিত্ব’ পাওয়ার বেশি অধিকার নেই।
“নীল তিমি এবং গরিলার ব্যক্তিত্ব নেই। কিন্তু আমার ধারণা তাদেরও রোবটের মতো মনুষ্যত্ব রয়েছে, তাই আমি জানি না কেন রোবটকেই মর্যাদা দিতে হবে।”
মানুষের সঙ্গে রোবটের পার্থক্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায়। কয়েক দশকের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় রোবট মানুষকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হয়।