মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট,
র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর মহা পরিচালক বেনজির আহমেদ বলেছেন, ‘দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী জঙ্গির সংখ্যা অতি নগণ্য। বাংলাদেশে জঙ্গির সংখ্যা এক হাজারের অনেক কম। তাদের মধ্যে অধিকাংশই গ্রেফতার হয়েছে, কিছু সংখ্যক জঙ্গি পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। যারা আছে তারাও কোণঠাসা হয়ে আছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য লিটন হত্যাকান্ডে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত করছে। প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত র্যাবের এ ছায়া তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
আজ শুক্রবার রংপুর র্যাব-১৩ ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে নগরীর আলমনগর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে একথা বলেন তিনি।
র্যাব-এর মহা পরিচালকের উদ্যোগে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে এসময় কম্বল বিতরণ করা হয়।
এসময় বেনজির আহমেদ বলেন, উত্তরাঞ্চলে আগের মতো আর অভাব নেই, মঙ্গা তো একেবারেই নেই। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে এ অঞ্চলে আগামীতে কম্বল নেয়ার মত লোক ও থাকবে না। দেশ ও জনগনের মাঝে আর্থিক স্বচ্ছলতা আর স্থিতিশীলতা থাকলে সব কিছু ঠিক থাকে। তিনি দেশের স্বচ্ছল মানুষদের দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাব প্রধান বলেন, বারবার উত্তরাঞ্চল থেকে কেন জঙ্গিবাদের উত্থান হয়- সেটা বের করার জন্য র্যাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে উত্তরাঞ্চলের ১৪ জেলায় জরিপ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জের ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঐ ঘটনা ছিলো ব্যক্তি লোভের। এটা র্যাবের আশ্রয়ে কিংবা প্রশ্রয়ে হয়নি। র্যাবের কোনো সদস্য অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে র্যাব কোনো প্রকারেই আশ্রয় প্রশ্রয় দিবে না। যে কোনো মূল্যেই হোক র্যাবকে সুশৃংখল রাখা হচ্ছে এবং আগামীতেও রাখা হবে।
এসময় র্যাবের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক আনোয়ারুল লতিফ, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মঞ্জুরুল কবির, বশির আহমেদ, র্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ, র্যাব-১৩ অধিনায়ক কমান্ডার এটিএম আতিকুল্যাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন, এসপি নজরুল ইসলাম, এএসপি দোলন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।-বাসস
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ২০ -০১-২০১৭ইং / মো: হাছিব
Tags: