মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট,
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বিচারপতি এমএম রুহুল আমিন একজন আপদমস্তক ভদ্রলোক ছিলেন। অনেককে দেখিছি বিরক্তি প্রকাশ করতে। কিন্তু তাকে কখনো কোন বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখিনি। ওনার মধ্যে বিচারকের সকল গুণাবলীই বিদ্যমান ছিল। সাবেক প্রধান বিচারপতি এমএম রুহুল আমিনসহ তিন বিচারপতির স্মরণ সভায় সোমবার তিনি এসব কথা বলেন। ওই সভায় আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও হাইকোর্টের বিচারপতি জেএন দেব চৌধুরীকেও স্মরণ করা হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপতি রুহুল আমিনের এক ছেলে আইন পেশায় রয়েছেন। প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর বিচারপতি রুহুল আমিন তিনি তার ছেলেকে সরকারি বাসায় রাখেননি। তিনি বলেন, বিচারপতি বজলুর রহমান নিজের বা পরিবারের জন্য কিছু রেখে যাননি। সবার জন্য করেছেন তিনি। এমনকি ছাত্র জীবনে অনেকের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপতি জেএন দেব দেওয়ানি আইনের ওপর অভিজ্ঞ বিচারক ছিলেন। এখন তো দেওয়ানি আইনে অভিজ্ঞ বিচারক খুবই কম পাওয়া যায়। তার মৃত্যুতে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
সুপ্রিম কোর্ট জাসেস কর্নারের সভাপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন, বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির। সভা পরিচালনা করেন বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম। তিন বিচারপতির মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ২৩ -০১-২০১৭ইং / মো: হাছিব
Tags: