ক্রীড়া ডেস্ক,
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলার আগে ইনজুরিতে পড়েন বাংলাদেশের সেরা তিন টেস্ট তারকা। গত দুই বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে দারুণ খেলা ইমরুল কায়েস, টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হক আর এ সংস্করণের অধিনায়ক মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহীম। তবে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে খেলতে নামার আগেই মাঠে ফিরতে পারবেন এ তিন তারকা। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।
মুশফিকের ইনজুরি নিয়ে বিসিবি চিকিৎসক বলেন, ‘মুশফিকের হাতের ইনজুরির পরে অস্ট্রেলিয়াতে এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। কোন ধরনের চিড় বা ফাটলের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। যেহেতু আঙ্গুলের ইনজুরি তাই ওখানে ব্যথা থাকবে এবং ভুগতেও হবে। কেননা বারবার ওখানে বলের আঘাত লাগবে তাই শুকাতে সময় লাগবে।’
তবে চিড় না থাকার কারণে মুশফিকের আঙ্গুল দ্রুতই সেরে উঠবে বলে আশা করেছেন দেবাশীষ, ‘যেহেতু চিড় নেই, সেহেতু আমরা ধরে নিচ্ছি ওর ব্যথা কমতে কয়েকটা দিন সময় লাগবে। এই কয়েকটা দিনের মধ্যে আমরা ওর কিছু ফিজিও থেরাপি ও অনুশীলন শুরু করে দিব। আশা করছি ভারত সিরিজে সে পুরোপুরি না হলেও মোটামুটি ব্যথামুক্ত হয়ে যাবে।’
মুশফিকের আঙ্গুলের ব্যথা সম্পূর্ণ মুক্ত না করা গেলেও ইতোমধ্যেই প্রায় ব্যথা কমে গেছে ইমরুল কায়েসের। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের আগেই খেলার জন্য সম্পূর্ণ ফিট হয়ে যাবেন বলে জানান দেবাশীষ, ‘ইমরুল ফিরে আসার পরে ওর এমআরআই স্ক্যান আবার করা হয়েছে। আনন্দের কথা হলো ওর ব্যাথাটা প্রায় শেষের পথে। কিন্তু যেহেতু ওর দু’সপ্তাহ পার হয়নি তাই আমরা ওকে এখনও বিশ্রামে রেখেছি এবং কিছু ব্যায়াম দিয়েছি। ও নিজে নিজেই সেটা করছে। ফিটনেস দেখার জন্য ৩১ জানুয়ারি আবার ওর কিছু পরীক্ষা করাবো।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বুকের পাঁজরে ব্যথা পান মুমিনুল। ব্যথা না কমায় দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। তবে ভারতের বিপক্ষে মাঠে পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন বিসিবি চিকিৎসক, ‘বলের আঘাতে মুমিনুলের বুকের পাঁজরে যে ইনজুরিটা হয়েছে, ও ফিরে আসার পরে আমরা আবার স্ক্যান করি। তবে কোন ফ্র্যাকচার নেই। যেহেতু পাঁজরের ব্যাথা, তাই কমতে বেশ সময় লাগে। এটাকে রিড ট্রমা বলে। কিছু শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও ফিজিও থেরাপির মাধ্যমে ভারত সিরিজের আগেই নিজেকে অনেকটাই ফিরে পাবে ও।’
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের হায়দারাবাদে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথমবার ভারতের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে টাইগাররা। যদিও একটি টেস্টেই সীমাবদ্ধ এ সিরিজ। তবুও এ সফর নিয়ে দারুণ সিরিয়াস টাইগাররা। ভালো কিছুর প্রত্যাশায় তাই সেরা দল নিয়েই মাঠে নামতে চায় টাইগাররা।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ২৬ -০১-২০১৭ইং / মো: হাছিব