আমিনুল হক সাদী, নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় নতুন আবেদন ও গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। সর্বমোট ২৯৪ জন যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আসে। এর মধ্যে ৪৮ জন মঞ্জুরকৃত হয়েছেন। আর নামঞ্জুরকৃত হয়েছেন ২৪৬ জন।
জানা গেছে, সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় লালমুক্তিবার্তায় ১৮২ জনের মধ্যে ১১ জন অভিযুক্ত। এই ১১ জনের মধ্য থেকে ৭ জন যাচাই বাছাইয়ে মনোনীত হন এবং ৪ জন নামঞ্জুরকৃত হয়েছেন। গেজেটভুক্ত ও বিশেষ গেজেটভুক্ত ৭৩ এর মধ্যে ২৭ জন মনোনীত হয়েছে এবং নামঞ্জুরকৃত হয়েছেন ৪৬ জন। অনলাইন আবেদন এবং সংশোধিত আবেদনে ১৭৬ জন। এদের মধ্য থেকে ১২ জন মনোনীত হয়েছেন এবং ১৬৪ জন নামঞ্জুরকৃত হয়েছেন। সরাসরি আবেদন করেছিলেন ৭ জন। এদের মধ্য থেকে ২ জন মনোনীত হয়েছেন এবং ৫ জন নামঞ্জরকৃত হয়েছেন।
এসব তালিকা গত শনিবার উপজেলা পরিষদের নোটিশ বোর্ডে এবং বৃহস্প্রতিবার দুপুরে সদর উপজেলার ওয়েব সাইটেও আপলোড দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির মধ্যে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি আবু বক্কর ছিদ্দিক ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) প্রতিনিধি মফিজ উদ্দিন, যাচাই-বাছাই কমিটির কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি সদস্য ভূপাল চন্দ্র নন্দী, উপজেলা কমান্ডের প্রতিনিধি সদস্য কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার অ্যাডভোকেট মো. মতিউর রহমান, জেলা কমান্ডের প্রতিনিধি সদস্য জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বাসির উদ্দিন ফারুকী,যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ।
যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যসচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাসউদ ‘মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ’কে জানান, টানা দুদিন ব্যাপী যাচাই বাছাই করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যাচাই বাছাইকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০২-০২-২০১৭ইং/ অর্থ