মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠঃ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গান্ধী-নেহেরু-জিন্নাহ’র ১৯৪৭ সালে দেশভাগের রাজনৈতিক ভুল শুধরে দেন। এই মহান কীর্তি বাঙালি জাতির পিতাকে পৃথিবীর রাজনৈতিক-ভৌগলিক ইতিহাসে অমর করে রেখেছে।’
তিনি আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদ দীর্ঘা, নাজিরপুর আয়োজিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ মুজিব’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক গৌরাঙ্গ লাল রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন, দর্শন, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ওপর আলোকপাত করেন পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্য মোঃ শাহ আলম, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি এড. মোলা মোঃ আবু কাওছার ,অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক এড. বলরাম পোদ্দার, অনুষ্ঠানের আয়োজক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদ দীর্ঘা’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব মন্মথ হালদার বাবুরাম, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মশিউর মালেক প্রমূখ।
তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ওপর আক্রমণের অর্থ বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। একাত্তর, পঁচাত্তরের খুনী ও তার উত্তরসূরিরা হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে দেশের ইতিহাস ও সংবিধানকে হত্যার চক্রান্ত করেছে। আর শেখ হাসিনার হাত ধরে ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু আবার স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন করছেন।’
মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে হানাদার পাকিস্তনী বাহিনীর যুদ্ধ, স্মরণ করিয়ে দিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামরিক ও সাম্প্রদায়িকতার জঞ্জাল পরিস্কার করছেন।’
একই সাথে সতর্কবাণীও উচ্চারণ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিপদ এখনও কাটেনি। শুধু খুনীদের পুনর্বাসনই নয়, মিথ্যা জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে বেগম জিয়া ১৫ আগস্ট খুনী-রাজাকারদের নিয়ে উল্লাস করছেন। শোক দিবসে জন্মদিনের কেক কেটে তিনি বাংলাদেশের হৃদয় কাটছেন। খালেদা জিয়া প্রমাণ করছেন যে, তিনি একাত্তর-পঁচাত্তর-একুশে আগস্ট ও মানুষ পোড়ানো আগুনসন্ত্রাসীদের কাতারবন্দী।’ তিনি ‘জঙ্গি-সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।