muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

গ্রন্থমেলায় অব্যবস্থাপনা : প্রকাশকদের ক্ষোভ

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ 

বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির পক্ষ থেকে গ্রন্থমেলার অব্যবস্থাপনার ১১টি বিষয় নিয়ে বাংলা একাডেমিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি সেই চিঠি দেওয়া হলেও এর প্রেক্ষিতে এখনো তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রকাশকরা।

ওই ১১ অব্যবস্থাপনার মধ্যে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয় তার মধ্যে রয়েছে- মেলার মাঠে পর্যাপ্ত আলো নেই্, মাঠের সর্বত্র ইট বসানোর কাজ সুচারুরূপে হয়নি, বিভিন্ন স্টলে পাইরেটেড বই ও নেট বই বিক্রি হচ্ছে, মেলা চত্বর অপরিষ্কার থাকছে, মোড়ক উন্মোচন মঞ্চটি মানসসম্মত হয়নি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তথ্যকেন্দ্র তেমন দৃশ্যমান নয়, মেলায় আগতদের জন্য পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা নেই ইত্যাদি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্রন্থমেলার প্রবেশপথে ফোয়ারার নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখনো পানি আসেনি। মেলার নানা স্থানে বসার সুব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না। মেলার সাজসজ্জা নিয়েও কথা উঠেছে। মানসম্মত সাজসজ্জা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেক প্রকাশক ও মেলায় আগতরা।

তারা বলছেন, গ্রন্থমেলা শুরুর আগে মেলার নান্দনিকতা নিয়ে অনেক কথা বলেছিল বাংলা একাডেমি। কিন্তু ওই কথার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল এ পর্যন্ত নেই। তাই হতাশ লেখক, প্রকাশক ও দর্শনার্থীরা।

গ্রামবাংলার মেঠোপথ ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হেঁটে আসছেন, এমন একটি বিলবোর্ড তৈরি করা হলেও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এর উপস্থাপনার মান নিয়ে। তা ছাড়া মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে বিভিন্ন গাছপালায় নান্দনিক সাজ থাকবে বলা হলেও তেমন কিছুই চোখে পড়েনি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোড়ক উন্মোচন মঞ্চটি বেশ ছোট হওয়ায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। পাশাপাশি মেলার দুই প্রবেশ তোরণ টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে ডিজিটাল স্ক্রিন লাগানোর কথা। সাত দিনেও সে স্ক্রিন নজরে আসেনি। নান্দনিকতার দিক থেকে এবারের মেলা পুরোপুরি ব্যর্থ।

এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা বড় আকারের ছাতা দিয়ে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করলেও চেয়ারগুলো ঠিক জায়গায় থাকছে না। এ ছাড়া অন্য সব সমস্যা দু/একদিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।’

Tags: