মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ
গ্রন্থমেলায় এসেছিলেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
স্ত্রী ইয়াসমিন হক ও তার ভাবি গুলতেকিন খাঁকে সঙ্গে নিয়ে এ বছরের গ্রন্থমেলায় বুধবারই প্রথম আসলেন এই জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।
মেলায় ঢুকতেই অটোগ্রাফপ্রেমীরা ঘিরে ধরেন জাফর ইকবালকে। সেই যে ধরা পড়লেন খুদে পাঠকদের হাতে, মেলা ছেড়ে বের না হওয়া পর্যন্ত আর নিস্তার মেলেনি। বইয়ের অটোগ্রাফ দিয়ে হাসি মুখে সেলফি তুলে মন ভরিয়েছেন খুদে পাঠকদের।
‘স্যার, আগে তো শুধু অটোগ্রাফ দিতেন। এখন সঙ্গে যোগ হয়েছে সেলফি। বিরক্তি লাগছে না তো?’ এমন প্রশ্নে জাফর ইকবাল বলেন, ‘যারা সেলফি তোলে তারা বইও কেনে। কারণ তারা মেলায় আসছে। মেলায় যারা আসে তারা বইয়ের পাঠক। তাই ওদের সঙ্গে সেলফি তুলে ক্লান্ত হই না।’
তিনি বলেন, ‘পাঠক এত কমে যাচ্ছে যে, এটা আশঙ্কাজনক। বিশ্বজুড়েই বইয়ের পাঠক কমছে। আমার বর্তমান লক্ষ্য পাঠক সৃষ্টি করা।’
মুহম্মদ জাফর ইকবালের স্ত্রী ইয়াসমিন হকের শিক্ষকতা জীবনের স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘সাস্টে ২২ বছর’ প্রকাশ করেছে তাম্রলিপি প্রকাশনী। বইটি তিনি ইংরেজিতে লিখেছেন। আর এর অনুবাদ করেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
একই প্রকাশনা থেকে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে মা আয়েশা ফয়েজের লেখা বই ‘শেষ চিঠি’ প্রকাশ পেয়েছে। একজন মায়ের তার ছেলেকে নিয়ে আকুতি পড়লে চোখে পানি চলে আসে।
এ প্রসঙ্গে জাফর ইকবাল বলেন, ‘বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পরে মা এটা লিখেছিলেন। এটা পড়লে আমাদের চোখেও পানি চলে আসে। আমরা পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলাম, এটা ছাপাব কি না। পরে মনে হলো, পাঠকের সামনে তুলে ধরা যেতেই পারে।’