muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

দ্বিতীয় দিন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৪১/১

ক্রীড়া ডেস্ক :
হয়দারাবাদ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের উড়ন্ত সূচনা হলেও শেষ মূহূর্তের কাঁটা হয়ে বিধল সৌম্য সরকারের বিদায়। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪১ । তামিম ইকবাল ২৪ ও মমিনুল ইসলাম ১ অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশ এখনো ৬৪৬ রানে পিয়েছে আছে হাতে রায়েছে ৯ উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ও সৌম্য দুজনেই দর্শনীয় কিছু শটে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে থাকেন। ১১.২ ওভারে দলীয় ৩৮ রানে উমেশ যাদবের বলে উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সৌম্য। তিনি ৩১ বলে ১৫ রান করেন।
এর আগে বাংলাদেশের স্পিনারদের অকার্যকর প্রমাণ করে রানের পাহাড় গড়ে ভারত। অধিনায়ক বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরি ও মুরালি বিজয়ের সেঞ্চুরির পর শতক করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। ৬ উইকেটে ৬৮৭ রান করে ভারত। ব্যাটিং প্রদর্শনীর ম্যাচে ঋদ্ধিমান ১০৬, চেতেশ্বর পুজারা ৮৩ ও আজিঙ্কা রাহানে ৮২ রান করেন।
ম্যাচে ফিরতে হলে চাই উইকেট, এমন সমীকরণ মাথায় রেখে প্রথম সেশনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে কোথায় কী! উল্টো দিনের প্রথম ভাগে বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করে চলেন বিরাট কোহলি ও আজিঙ্কা রাহানে। তবে শেষ পর্যন্ত উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ৮২ রান করা রাহানেকে ফিরিয়েছেন তাইজুল হক। গতকালের ১২২ রানের জুটিটাতে আজ আরো একশ রান যোগ করেন এ দুজন। দলীয় ৪৫৬ রানে রাহানের দারুণ ক্যাচ ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। রাহানে ফিরে গেলেও  তবে কোহলি শো চলতেই থাকে।
এর পর দ্বিশতক করে আউট হন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এ নিয়ে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান টানা চার সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। তাইজুলের বলে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন ভারত অধিনায়ক। তার আগে ২৪৬ বলে ২০৪ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলেন তিনি।
কোহলির বিদায়ের পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ঋদ্ধিমান সাহা মিলে যোগ করেন ৭৪ রান। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন অশ্বিন। এরপর সাহা ও জাদেজা যোগ করেন আরো ১১৮ রান।  এই জুটিতেই অর্ধশতক পূর্ণ করেন জাদেজা। শেষ পর্যন্ত ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দুজনেই বেশ মেরে খেলেন এই সময়।
গতকাল বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে টাইগাররা। ১৬ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ‘ঐতিহাসিক’ টেস্টের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ওভারে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে আসেন লোকেশ রাহুল। তাসকিনের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরে বল লেগে বোল্ড হন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ভারতের রান তখন মাত্র ২।
এরপর মুরালি বিজয় ও চেতেশ্বর পুজারার ১৭৮ রানের জুটিতে খেলায় ফিরে আসে ভারত। জুটিটা যখন ভয়ংকর হয়ে উঠছিল, ঠিক তখনই ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন মেহেদি হাসান মিরাজ। ডানহাতি এই স্পিনারের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিককে ক্যাচ দেন চেতেশ্বর পুজারা। এর আগে পুজারা ও বিজয় মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫০ ওভারে ১৭৮ রান যোগ করেন। পুজারাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে খানিকটা হলেও স্বস্তি ফেরালেন অফস্পিনার মিরাজ। ১৭৭ বলে ৮৩ রান করে বিদায় নেন ভারতীয় জাতীয় দলের মিডল অর্ডারের অন্যতম স্তম্ভ চেতেশ্বর পুজারা।
১৯তম ওভারে জীবন পাওয়ার পর শতক পূর্ণ করেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন মুরালি বিজয়। তাইজুল ইসলামের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ভারতীয় ওপেনার। এর আগে ১৬০ বলে ১০৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন বিজয়।
মুরালি বিজয় ও বিরাট কোহলির শতকে ৩ উইকেটে ৩৫৬ রান নিয়ে প্রথম দিনটা শেষ করে ভারত। বিরাট কোহলি ১১১ ও রাহানে ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১০-ফেব্রুয়ারি-২০১৭ইং/নোমান

Tags: