মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্ট:
দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
হানিফ বলেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এদেশের কিছু ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে যার অন্যতম হোতা ড. ইউনূস। তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মিথ্যা অভিযোগের প্রসঙ্গ ধরে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ধ্বংস ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কিছু ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যেটা আজকে প্রমাণিত হয়েছে। এই গোষ্ঠীর অন্যতম হোতা বাংলাদেশের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূস। যার নোবেল পুরস্কার নিয়েই অনেক বিতর্ক আছে।
তিনি আরও বলেন, নোবেল পুরস্কার পেলে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যায় না। পৃথিবীতে অনেক নোবেল বিজয়ী জেল খেটেছেন। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। তাই তাকে আইনের ঊর্ধ্বে ভাবার কোনো কারণ নেই। সেজন্য ড. ইউনূসের মতো সুদখোর, মিথ্যাবাদী, দেশের টাকা আত্মসাৎকারী এবং রাষ্ট্রবিরোধীকে আইনের আওতায় আনা হোক।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ড. ইউনূস একজন সুদখোর। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে তার সোশ্যাল বিজনেসের কারণে বাংলাদেশে শতকরা ৮০ ভাগ লোক দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে এই ধরনের প্রচার করা হচ্ছে। এই ধরনের মিথ্যাচার জাতি আর কখনো দেখেনি। এটা চরম মিথ্যাচার। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে তিনি শুধু সুদখোরই নয়, চরম মিথ্যাবাদী।
তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের নামে ২৮ শতাংশ শেয়ারের প্রতি বছর মুনাফার শত শত কোটি টাকা ড. ইউনূস উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এটাকে আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম দিয়ে এই টাকার হিসাব করা দরকার।
তিনি আরো বলেন, ৱ ইউনূস নিজের পদ-পদবী টিকিয়ে রাখার জন্য শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশনে সাহায্য হিসেবে দিচ্ছেন। তিনি এই টাকা কোথায় পাচ্ছেন? এই টাকা বাংলাদেশের জনগণের টাকা। এ ব্যাপারেও সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন।
হানিফ বলেন, ড. ইউনূস কোথায় কোন শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন যে, তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়ে গেলেন? পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। অতীতে অনেকেই শান্তি চুক্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কিন্তু সেই শান্তি চুক্তি বেশিদিন টেকেনি। কিন্তু পার্বত্য শান্তি চুক্তি দুই দশকের বেশি সময় টিকে আছে উভয় পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কোনো রক্তপাত হয়নি। তাই শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেতে হলে শেখ হাসিনারই পাওয়া উচিত ছিলো।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় আরো অংশ নেন এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), আবুল কালাম আজাদ, মনিরুল ইসলাম, এ কে এম শাহজাহান কামাল, সেলিম উদ্দিন, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, হাবিবে মিল্লাত, তালুকদার মো. ইউনূস, পীর ফজলুর রহমান (মেসবাহ) প্রমুখ।