মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শপথ গ্রহণের পর বিকেলে দায়িত্ব নিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবেন কমিশন সদস্যরা।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, ওইদিন সকাল ৯টায় নতুন কমিশন জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। সেখান থেকে ফিরে এসেই সকাল ১১টায় ইসি সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরিচিত পর্ব ছাড়াও আলোচনা হবে বিভিন্ন নির্বাচন নিয়ে।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা। এরপর ৬ মার্চ রয়েছে সিলেটের ওসমানী নগর, খাগড়াছড়ির গুইমারা ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন। আর ২২ মার্চ রয়েছে গাইবান্ধ-১ আসনের উপ-নির্বাচন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কে এম নুরুল হুদাকে সিইসি করে পাঁচ সদস্যের কমিশন নিয়োগ দেন। অন্য নির্বাচন কমিশনাররা হলেন, মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রি জে (অব.) শাহাদত হোসেন।
বর্তমান কমিশনের মেয়াদ রয়েছে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও ৬০ হাজারেরও বেশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করবেন।
বুধবার বিকেল ৩টায় সুপ্রিস কোর্টে প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে শপথ নেওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রথমে সিইসি পরে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করেন। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। এরপর সবাই সিইসির কক্ষে গিয়ে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে কাজে যোগদান করেন। বিকেল পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিইসি।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন দেশের দ্বাদশ নির্বাচন কমিশন।