মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জে পৃথক সংঘর্ষে টুঙ্গিপাড়ার পৌর মেয়রসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উভয়গ্রুপের সাতজনকে আটক করেছে।
সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া ও মুকসুদপুর উপজেলার ছাগল ছিড়া গ্রামে আজ বুধবার বিকেলে সংঘর্ষ হয়েছে।
আহত পৌর মেয়র আহমেদ হোসেন মির্জাকে দেখতে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে যান পুলিশ সুপার এস এম এমরান হোসেন। এ সময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল ৪ টার দিকে মেয়র গাড়িতে করে টুঙ্গিপাড়া থেকে জেলা সদরে আসছিলেন। গাড়িটি ঘোনাপাড়া পৌঁছালে সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মাহেন্দ্র চালকদের সঙ্গে মেয়রের গাড়ির চালকের কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে মাহেন্দ্র চালকরা মেয়রের উপর হামলা চালায়। এ খবর টুঙ্গিপাড়া পৌঁছালে টুঙ্গিপাড়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ঘোনাপাড়ায় অবস্থান নিলে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
এরই এক পর্যায়ে গোপালগঞ্জ সদরের লোকজন ও মাহেন্দ্র শ্রমিকরা এক জোট হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৪ টা থেকে থেমে থেমে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় একটি মাহেন্দ্র ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
আহত পৌর মেয়র আহমেদ হোসেন মির্জাসহ তিনজনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে কমপক্ষে এক ঘণ্টা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুকসুদপুর উপজেলার ছাগলছিড়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় পাঁচটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উভয় গ্রুপের সাতজনকে আটক করেছে।
গোপালগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আমীনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।