মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট :
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জাতিসংঘের এশিয়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা সংস্থায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউনেস্কোর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ব্যুরোর উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে পালিত হয়।
এই প্রথম জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা সংস্থার (ইউএনএসকাপ) আঞ্চলিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হল। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, ইউনেস্কোর এশিয়া-প্যাসিফিক ব্যুরোর আঞ্চলিক প্রধান, ইউএনএসকাপ এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি, রাশিয়া, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড সহ ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূত অথবা স্থায়ী প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি প্রবাসীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, অমর একুশে শুধু বাঙ্গালিদের নিজের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারই দেয়নি বরং ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ, সহিষ্ণু রাষ্ট্র গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
রাষ্ট্রদূত যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি এনে দেয়ার পাশাপাশি ২০০১ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট গঠন করে ভাষার বহুত্ববাদের উত্তরণে সহায়তা করেছেন।
ইউনিসেফের শিক্ষা বিভাগের প্রধান মাতৃভাষা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ৪ এর উপর একটি প্রেজেন্টেশন প্রদর্শন করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বাংলা সহ জাতিসংঘের ৫টি দাপ্তরিক ভাষায় (রুশ, আরবি, স্প্যানিশ, ম্যান্ডারিন, ইংলিশ) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২২-ফেব্রুয়ারি-২০১৭ইং/নোমান
Tags: