মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, অব্যাহতি পাওয়া এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই চার্জশিট দাখিল করা হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মিতু হত্যায় কারও সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যাদের শনাক্ত করা হয়েছিল তাদের নাম ইতোমধ্যেই প্রকাশ হয়েছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বনানীতে একই দিনে ৪ জন নিখোঁজ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও ৪ জনের খোঁজ মেলেনি। আগামীকাল এ ব্যাপারে আমি আপডেট জানাতে পারবো।’
উল্লেখ্য, গত গত ১ ডিসেম্বর ৪ জন যুবক রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। তারা হলেন, সাফায়েত হোসেন, জায়েন হোসেন খান পাভেল, সুজন ও মেহেদী। তাদের মধ্যে সাফায়েত ও পাভেল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথের ছাত্র। অপর দুইজনের মধ্যে সুজন বনানী এলাকার একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তারা ৪ জনই বন্ধু। তাদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এ ঘটনায় নিখোঁজ পাভেলের বাবা রাসেল খান বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি নং ১১৯) করেছেন।
পরবর্তীতে তদন্তে নিখোঁজ ৪ যুবকের বৈঠকের ভিডিও ফুটেজ হাতে পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। সেখানে দেখা গেছে, ঘটনার দিন (১ ডিসেম্বর) বিকেলে তারা রাজধানীর বনানীর একটি রেস্টুরেন্টে বসে নিচু গলায় আলাপ করছেন। পাশের টেবিলে আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তারাও সে সময় ওই যুবকদের সঙ্গে ইশারা ইঙ্গিতে কথা বলেন। ধারণা করা হচ্ছে, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েই ওই যুবকেরা ঘর ছেড়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২৪-ফেব্রুয়ারি-২০১৭ইং/নোমান