আল আমিন মন্ডল, বগুড়া থেকে :
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। ক্ষৃধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়ার জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলেন। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমরা দেশ ও জনগনের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ব্যবসা করতে আসিনি, আমরা মানুষের সেবা করতে এসেছি। তাই আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দেশ খাদ্য স্বয়ন সর্ম্পন্ন হয় এবং দেশের মানুষ পেট ভরে খেতে পায়। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা দেশকে খাদ্য স্বয়ণ সম্পন্ন করেছি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানুষের আয় বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ কে বিশ্বের দরবারে মর্যদার আসনে বসাতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ কেউ অনাহারে থাকে না, বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যায় না। আমরা খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের দোড় গোড়ায় এনে পৌছি দিয়েছি। বেকার যুবক ও মা বোনদের জন্য কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নারীরা যেন ঘরে বসে কর্মসংস্থান পায়। সেজন্য একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গৃহহীনদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশের অন্যান্য এলাকা সহ এই এলাকার কৃষকের উৎপাদিত খাদ্যশস্য যাতে দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণ করা যায় সেই উদ্দেশ্যে এখানে দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে এই প্রথম মাল্টি স্টোরিড ওয়ারহাউজ (অত্যাধুনিক বহুতল বিশিষ্ট খাদ্য গুদাম) উদ্বোধন করা হলো।
তিনি বলেন, ২০২১ইং সালের মধ্যেই এই দেশ কে মাধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা লক্ষ্যে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধান মন্ত্রী গতকাল রবিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বগুড়ার সান্তাহারে নব-নির্মিত মাল্টি স্টোরিড ওয়ারহাউজ উদ্বোধন শেষে বিকেল ৩টায় সান্তাহার ষ্টেডিয়ামে স্থানীয় আওয়ামীলীগ আযোজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষনে এসব কথা বলেন। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি লায়ন আলহাজ্ব আনছার আলী মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, ভূমি মন্ত্রী শামছুর রহমান শরীফ ডিলু এমপি, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, আব্দুল মান্নান এমপি, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান এমপি, হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, আব্দুল মালেক এমপি, সাধন মজুমদার এমপি, ডাঃ হাবিবে মিল্লাত এমপি, নূরে আলম চৌধুরী এমপি,
বগুড়া জেলা আ’লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৮সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা দেশে ১৫হাজার ৩শত মেগাওয়াট বিদু্যুৎ উৎপাদন করেছি। দেশের ৮০ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে প্রধান মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে তার সন্ত্রসী নেতা-কর্মীরা সারাদেশে জ্বালাও, পোড়াও করে জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। তার ছেলে তারেক রহমান হাওয়া ভবন নির্মান করে লুট পাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাই দেশের মানুষ আর বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাতœক রাজনীতি আর দেখতে চায় না । তিনি উন্নয়ননের ধারা অব্যহত রাখার জন্য আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান। প্রধান মন্ত্রীর এই প্রথম সান্তাহারে আগমনে রবিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীসহ হাজার হাজার নারী-পুরুষ সভাস্থল সান্তাহার ষ্টেডিয়ামে উপস্থিত হতে থাকে।
দুপুর ১২টায় মধ্যে সান্তাহার ষ্টেডিয়াম কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে জনসমুদ্রে পরিনিত হয়। ফলে স্টেডিয়াম ছাপিয়ে হাজার হাজার মানুষ শহরের বিভিন্ন এলাকায় সমাবেত হয়ে প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্য শুনেন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২৬-ফেব্রুয়ারি-২০১৭ইং/নোমান