সাম্প্রতিক সময়ে বার্সেলোনার পারফরম্যান্স মোটেও তাদের মানের ছিল না। এ মাসের মাঝামাঝি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর লা লিগায় দুটি জয় পেলেও উভয় ম্যাচেই ধুঁকতে দেখা গেছে কাতালান ক্লাবটিকে।
লিগের ওই দুই ম্যাচেই শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার রক্ষাকর্তা মেসি। লেগানেসের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচের দুটি গোলই করেন আর্জেন্টিনা তারকা। আর গত রোববার আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে ম্যাচের শেষ দিকে তার জয়সূচক গোলেই তিন পয়েন্ট পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শুধু এই দুই ম্যাচেই নয়, মৌসুমের শুরু থেকে দারুণ ছন্দে থাকা মেসির নৈপুণ্যেই অনেকবার বেঁচে গেছে বার্সেলোনা। হারতে বসা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত পেয়েছে জয়ের আনন্দ। দলের প্রয়োজনে অনেক ম্যাচেই পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার সামলেছেন মাঝমাঠ। তাতেও তার গোলের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি, চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ৩৫ গোল। লিগে সর্বোচ্চ ২০ গোল।
দলে এমন একজন থাকলে তার ওপর কেন নির্ভর করা যাবে না-সেটাই বুঝতে পারছেন না এনরিকে।
“বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের উপর আমরা নির্ভর করি না-এটা চিন্তা করাটাই হাস্যকর হবে। আশা করি, আমরা আরও অনেক বছর তার উপর নির্ভর করতে পারবো।”
“আমি এখনও তাকে একজন ফরোয়ার্ডের চেয়ে বেশি কিছু বিবেচনা করি। আমাদেরকে সাহায্য করতে কখনও কখনও সে বেশি সময় মাঝমাঠে কাটায়। তবে আমার মনে হয় না এটা কোনো ব্যাপার যে, সে মাঝমাঠে নাকি সামনে বেশি সময় খেলল। মূল বিষয় হলো তার ফর্ম।”
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় ঘরের মাঠে স্পোর্তিং গিহনের বিপক্ষে খেলবে বার্সেলোনা। লিগের পরের রাউন্ডে আগামী শনিবার সেল্তা দে ভিগোর বিপক্ষে মাঠে নামবে। তার চার দিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামবে তারা।
কম সময়ের ব্যবধানে তিনটি ম্যাচ থাকায় মূল তারকাদের বিশ্রামে রাখতে স্পোর্তিংয়ের বিপক্ষে মেসি, নেইমার কিংবা লুইস সুয়ারেসের মধ্যে এক জনকে বিশ্রাম দিতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন এনরিকে।