মনির হোসেন রবিন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
পরিবারের অভাব-অনটন দূর করতে নিজ এলাকার স-মিলের কাজ ছেড়ে শ্বশুর ও পিতার সহযোগীতায় সৌদিআরব যান লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের দরিদ্র শ্রমিক আবুল খায়ের (৩৩)। কিন্তু সৌদি আরবের শ্বশুরের বাসায় যাওয়ার আগেই মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় কেড়ে নিল সকল স্বপ্ন।
বুধবার রাতে আবুল খায়ের মারা গেলেও স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যুর সংবাদ জানার পরই পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া নেমে আসে।নিহত আবুল খায়ের সৌদিআরব বিমান বন্দর থেকে টেক্সিযোগে বাসায় যাওয়ার পথে বুধবার রাত ৩ টায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
বুধবার ( ১ মার্চ) রাতে সৌদি আরবের হাইল প্রদেশে তাবুক রোডের দিলহান নামক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
এসময় আবুল খায়েরকে বিমানবন্দর থেকে নিতে আসা তার শ্বশুর মুনছুর আহমদ (৫২) আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।নিহত আবুল খায়ের লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড দণি রায়পুর গ্রামের ছানা ছত্বরের সামনের হাওলদার বাড়ীর আব্দুল কাদেরের তৃতীয় ছেলে ও আবুল কাশেম মাষ্টারের ছোট ভাই। অন্য নিহত দুলালের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায়।আবুল খায়েরের বড় ভাই আবুল কাশের জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকতো আবুল খায়েরের পরিবারে। অভাবের সংসারে স্বচ্ছালতা ফিরিয়ে আনতে স-মিলের কাজ ছেড়ে শ্বশুর ও পিতার দেওয়া ৪ ল ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে (ফ্রি ভিসায়-শ্রমিকের কাজে) সৌদি আবর যান। তার সংসারে পিতা, মাতা, ১০ ভাই-বোন, স্ত্রী ও রাহা নামে ৪ বছরের এক কন্যা শিশু রয়েছে।
নিহত আবুল খায়েরের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুপা বলেন, অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বাবার সহযোগীতায় তাকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যে তা হলো না। আমার অবুঝ মেয়েকে এখন কে দেখবে ? আমি আমার স্বামীর লাশ সৌদিআরব থেকে ফিরে আনতে সরকারের সহযোগীতা চাই।
রায়পুর উপজেলার ৩নং চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান পাঠান বলেন, আবুল খায়ের কর্মঠ ও ভালো মানুষ ছিলো। তার লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে ও তিপূরন পেতে সরকারের সহযোগীতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রাণী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে প্রয়োজিন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/০৩-মার্চ-২০১৭ইং/নোমান