মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মুরগির ফর্মের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে শিক্ষা কার্যক্রম হুমকির মুখে পরেছে । এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাকুর রহমান বাদল গত ২ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের পার্শবর্তী ছয়সূতী গ্রামের মৃত হারুন অর রশিদের পুত্র মাসুম মিয়া বিদ্যালয়ের দক্ষিণ – পশ্চিম পাশে প্রায় ২০-২৫ গজ দূরে ৪ হাজার লেয়ার মুরগির একটি টিনসেট ফার্ম তৈরী করে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছে। দক্ষিনের বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ার কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। দুর্গন্ধে শ্রেণি কক্ষে টিকতে না পারার দরুন প্রায়ই বিদ্যালয় ছুটি দিতে বাধ্য হচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মুরগির বিষ্ঠার গন্ধে বিদ্যালয়ের পরিবেশ দিন দিন দূষিত হওয়ায় শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
পশুরোগ বিধিমালা – ২০০৮ অনুযায়ী বাসস্থানের সন্নিকটে এবং পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন স্থানে পোল্ট্রি ফার্ম নির্মাণ বা পরিচালনা নিষিদ্ধ থাকলেও সরকারের আইন অমান্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখিয়ে নির্দিধায় লেয়ার মুরগির ফার্ম তৈরী করে পরিবেশ দূষিত করছে ব্যাবসায়ী মাসুম মিয়া । এর আগেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম আব্দুল আওয়াল ২০১৫ সালের মার্চ মাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন করেছিল। বার বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করার পরও কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা হতাশায় পরেছে। অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, মাসুম মিয়া পল্লী বিদ্যুৎ লাইনের আবাসিক মিটার থেকে অবৈধ ভাবে ফার্মের সংযোগ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি করে আসছে। এ ব্যাপারে ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মোঃ মিছবাহুল ইসলাম বলেন,ব্যাবসায়ী মাসুম মিয়াকে একাটি সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুলিয়ারচর পৌরসভার মেয়র ইমতিয়াজ বিন মুছা জিসান ফার্মটি অন্যত্র স্থানারের নির্দেশ দিয়েছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত ফার্মটি স্থানান্তর হয়নি । অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে মাসুম মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ের সাথে রেশা রেশী করে আমি আমার ফার্ম চালাবো না। কিছু দিনের মধ্যেই ফার্মটি অন্যত্র সরিয়ে নেব।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড.উর্মি বিনতে সালাম ‘মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ’কে বলেন, জরুরী ভিত্তিতে পোল্ট্রি ফার্মের কার্যক্রম বন্ধে করার জন্য গত ১১ ফেব্রুয়ারী মাসুম মিয়াকে নোটিস করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৩-০৩-২০১৭ইং/ অর্থ