muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

“মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করুন”

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটায় শুন্য পদগুলো পূরণের জন্য অবিলম্বে একটি স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক প্রশাসন গড়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের অপসারণও দাবি করেছেন তারা।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতন বন্ধ এবং প্রশাসন স্বাধীনতা বিরোধীমুক্তকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ দাবী জানান।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন মৃদুলের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দপ্তর সম্পাদক আহমাদ রাসেল।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন, সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জোবায়দা হক অজন্তা, আনোয়ার হোসেন বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম সজল, সংগঠনের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সাগর, খালিদ বিন আনিস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ রনি, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ইখতিয়ার উদ্দিন ইমন, মাসুদ রানা, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মাহবুব রুমন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ ও মাসুদ রানা। মানববন্ধন ও সমাবেশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি রুকন উদ্দিন পাঠান।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্যপদগুলো মেধাতালিকায় অবস্থানকারী সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে, এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহবান জানান।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কোটা নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং জরুরিভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন স্বাধীনতা বিরোধীমুক্ত করতেও সরকারের প্রতি আহবান জানান।তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ না দিয়ে এই কোটায় প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণদের দিয়ে পূরণ করার সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে এই সুযোগ নিয়ে স্বাধানতা বিরোধী জামায়াত-শিবির চক্র এবং তাদের দোসরদেরই প্রশাসনে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা কখনোই সম্ভব নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি- সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় (পিএসসি) এখনো এদেশে দীর্ঘদিনের জামায়াতি শাসনের ভুতের আছর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাম শুনলেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারী কোটা থাকলেও এই কোটায় যোগ্যতার দোহাই দিয়ে ইচ্ছাপূর্বক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে দেয়। বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া যায় না। অথচ এখনো লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বেকারত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটায় শুন্য পদগুলো পূরণের জন্য অবিলম্বে একটি স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রিলিমিনারী, লিখিত, মনস্তাত্বিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর কি যোগ্যতার প্রমান দিতে হবে? মৌখিক পরীক্ষা ঘুষ লেনদেনের জন্য একটি উত্তম পন্থা হতে পারে। কিন্তু এটি কখনোই যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র মানদন্ড হতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জামায়াতের দোসর পিএসসি’র কিছু কর্মকর্তা বা কোন মহলের ইন্ধনে বা গুটি কয়েক পশ্চাদপদশীল লোকের অযৌক্তিক দাবির মুখে চাকুরিতে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হাত দেয়া ঠিক হবে না। কোটা সংস্কারে তাদের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে সামনে নিয়ে এসে তারা জঙ্গি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা চলমান আন্দোলনকে ব্যাহত করতে চায়। কারণ এরা কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি দেশপ্রেমিক প্রশাসন গড়ে উঠুক এটা চায় না।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতনের ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সরকারের উচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সুরক্ষায় অবিলম্বে একটি আইন প্রণয়ন করা।

 

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৩-০৩-২০১৭ইং/ অর্থ  

Tags: