আমিনুল হক সাদী, নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জের ভাষাসৈনিক প্রয়াত মিছিরউদ্দীন আহমেদ এর গ্রামের বাড়িটি প্রায় ৩৩ বছর পর দখলমুক্ত হয়েছে। গ্রামবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় শুক্রবার বাড়িটি দখলমুক্ত করে ভাষাসৈনিকের বাড়ির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়।
ভাষাসৈনিক মিছিরউদ্দীন আহমেদ এর মেঝো ছেলে মিজানউদ্দিন টিটু ‘মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ’কে জানান, তাদের পরিবার প্রায় ৩৩ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে কিশোরগঞ্জ শহরে আসার পর থেকে স্থানীয় সোহরাব গং নামে একটি ভূমিদস্যু চক্র বাড়িটি দখলের জন্য নানা ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা চালাতে থাকে। দখলের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে বাড়ির মাঝ বরাবর বেড়া দেয়। কিছু স্থাপনাও করে ফেলে। বাড়ির গাছ গাছালি কেটে নিয়ে যায়। বাঁশ ঝাড়টি এক প্রকার উজাড় করে ফেলে। ভিটের মাটি পর্যন্ত কেটে নিয়ে যায়। আব্দুর রাশিদ নামে বাড়ির কেয়ারটেকারকে তাড়াতে তার রান্নার চুলায় মলমুত্র ত্যাগ করা থেকে শুরু করে নানাভাবে অত্যাচার চালায়।
ইদানিং বাড়ির সীমানা চিহ্নিত করার জন্য মাপজোক করতে গেলে ভূমিদস্যু চক্রটি বাধা দেয়। এ ব্যাপারে পরিবারটির পক্ষ থেকে করিমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়। শুক্রবার পুলিশ ও গ্রামবাসীর সহায়তায় মাপজোকের পর সীমানা চিহ্নিত করে বাড়িটিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়। শেষ চেষ্টা হিসেবে ভূমিদস্যু চক্রটি কিছু ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে দখল বজায় রাখারও চেষ্টা চালায়। পরে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় চক্রটি।
এ ব্যাপরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবু সিদ্দিক বাক্কার বলেন, কোনো অন্যায় চাপের কাছে আমরা মাথা নত করিনি। দলিল দস্তাবেজ দেখে যার যা প্রাপ্ত বুঝিয়ে দিয়েছি।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির রাব্বানী ‘মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ’কে বলেন, আইন শৃংখলার কোনো রকম অবনতি যাতে না ঘটে আমরা সে চেষ্টাই করেছি।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৪-০৩-২০১৭ইং/ অর্থ