মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ
বিস্ফোরক আইনের মামলায় হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় ঐক্যজোটের ২৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে রোববার (০৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এই পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্তরা হলেন- ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, মহাসচিব মুফতি মো. ফয়জুল্লাহ, খেলাফত মজলিসের আমির মওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মওলানা আব্দুর রউফ ইউসুফী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আবদুর রাকিব প্রমুখ।
এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাংবাদিক শওকত মাহমুদ এবং মোশাররফ হোসেন নামে একজন জামিনে রয়েছেন। আর জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম আছেন কারাগারে।
পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা গেল কি না- তা জানিয়ে ৬ এপ্রিল শাহবাগ থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
শাহবাগ থানার এস আই সানোয়ার হোসেন মামলার বাদী। মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন একই থানার এস আই সুব্রত গোলদার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙার জন্য ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে আনন্দবাজারের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই সময় মিছিল থেকে বোমাবাজি, লেগুনায় অগ্নিসংযোগসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায় আসামিরা।
এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতা-কর্মী কোনো ধরনের নাশকতা ও নৈরাজ্যের সঙ্গে কখনও জড়িত ছিলো না, জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। গ্রেফতারি পরোয়ানায় আমরা ভীত নই। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানার মোকাবেলা করবো। প্রয়োজনে রাজপথেও মোকাবেলা করা হবে।